Abhishek Banerjee: “সংসদে ধর্মগুরুদের ভূমিকা কি? আগামী দিনের দেশ কেমন চলবে এটা তার একটা টিজার দিলেন নরেন্দ্র মোদি”: কেশপুরে প্রশ্ন তুললেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কেশপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরে নব
জোয়ার যাত্রার দ্বিতীয় দিনে দলের কর্মীদের নিয়ে বৈঠক সেরে, চন্দ্রকোনা রোড, গড়বেতা হয়ে ক্ষুদিরাম বসুর
পৈত্রিক ভিটে কেশপুরের মোহনীতে হাজির হয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। পরে সেখান থেকে
চন্দ্রকোনা টাউন হয়ে হাজির হন ঘাটালের বীরসিংহ গ্রামে বিদ্যাসাগরের জন্ম ভিটেতে।
তার আগে কেশপুরে সাংবাদিক সম্মেলন করে নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন প্রসঙ্গে একাধিক
প্রশ্ন তুললেন তিনি।
রবিবার বেলা দুটোর পর শালবনির
স্টেডিয়ামে মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক
করেন অভিষেক ব্যানার্জি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে দলের নেতাকর্মীদের শৃঙ্খলা
রক্ষা ও এগিয়ে যাওয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কৌশলী আলোচনা হয়। এক ঘণ্টার বেশি
বৈঠক সেরে সেখান থেকে রওনা দেন নবজোয়ার যাত্রা নিয়ে চন্দ্রকোনা রোড এর
উদ্দেশ্যে। জাতীয় সড়ক ধরে হাজির হয়ে যান গড়বেতায়। হাজার হাজার মানুষের ভিড়
ঘিরে ধরে এই যাত্রা কে। সেখান থেকে পরিক্রমা করে আড়াবাড়ি জঙ্গলপথে শালবনি ঘুরে
রওনা দেন কেশপুরের মহুবনি গ্রামের উদ্দেশ্যে।
মাঝে শালবনির তমাল ব্রিজ এলাকায়
গ্রামের বাসিন্দারা জমি অধিগ্রহ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। স্থানীয় বাসিন্দারা
জানান ব্রিজের এপ্রোচ রোড তৈরির জন্য যে জমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে তা বর্তমান বাজার
মূল্য অনুসারে অনেক কম। তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি রাখেন অভিষেক
ব্যানার্জির কাছে। গ্রামবাসীদের কাছে সমস্ত কাগজপত্র দেখা ও কথাবার্তা বলার পর
রওনা দেন মহুবনী গ্রামের উদ্দেশ্যে।
ক্ষুদিরামের পৈত্রিক ভিটেতে পৌঁছে
ক্ষুদিরামের মূর্তিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন। উপস্থিত কচি কাচাদের চকলেট
বিলি করেন তিনি। কথা বলেন-ক্ষুদিরাম বসুর পরিবারের বংশধরদের সঙ্গে।
এরপরে সাংবাদিক সম্মেলনের অভিষেক
ব্যানার্জি-” নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন হয়েছে বলে অনেকেই উৎফুল্ল। কিন্তু যে
সংসদ ভবনের অধিবেশন রাষ্ট্রপতির ভাষণ দিয়ে শুরু হয় সেই রাষ্ট্রপতিকেই আমন্ত্রণ
জানানো হয়নি। যে জনজাতির প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু- এতদিন বলে আসছিলেন, তাকেই আমন্ত্রণ না জানিয়ে কি বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী? উনি বলছেন নারী ক্ষমতায়নের কথা, অথচ ওই মুহূর্তে দু
কিলোমিটার দূরে মহিলা কুস্তিগীরদের টেনে হিচড়ে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। জনজাতির
প্রতিনিধি রাষ্ট্রপতি অপমানিত।”
তিনি আরো বলেন-“হাজার হাজার
কোটি টাকা খরচ করে এই সমস্ত পরিবর্তন ও উদ্বোধন না করে যে সমস্ত মানুষের মাথায়
ছাদ নেই তাদের দিতে পারতেন। তাছাড়া এত টাকা দিয়ে সংসদ ভবন উদ্বোধন করেই কি লাভ
যেখানে বিরোধীদের কথা বলার সুযোগ নেই? আলোচনা না করেই যেখানে
বিল পাস হয়ে যায়। মানুষ দেউলিয়া, সেটা না ভেবেই নিজের মতো
করে আনন্দ উপভোগ করা যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী।”
তিনি প্রশ্ন তোলেন-“সংসদ
ভবনে ধর্ম গুরুদের ভূমিকা কি? কোন মন্দির হলে ধর্ম গুরুদের নিয়ে
যান ক্ষতি নেই। সংসদ উদ্বোধনের তারা কেন?যে রাষ্ট্রপতি এই
সংসদ ভবনের ভাষণ না দিলে অধিবেশন শুরু হয় না তাকেই আমন্ত্রণ করা হলো না। আসলে
এটার দ্বারা একটা ছোট্ট টিজার তিনি দিলেন, যে আগামী দিনে
ধর্ম দিয়ে দেশ শাসন করবেন। ধর্মকে অস্ত্র করে এগোতে চাইছেন। কুড়ি হাজার কোটি
টাকা এই ক্ষেত্রে খরচ না করে মানুষের জন্য খরচ করলে আজ ৫০ লক্ষ মানুষ বাড়ি পেতো।
বিজেপি প্রমাণ করলো ওরা দানবিক, আমাদের সরকার মানবিক।
প্রধানমন্ত্রী মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।”
#nabajoaryatra #AbhishekBanerjee #Jangalmahal, #midnapurr,#Medinipurr,#midnapurtown, #Salboni, #khemasuli #Jhargram #MamataBanerjee, #ঘাগরঘেরা #কুড়মি #মাহাতো #জঙ্গলমহল #অভিষেকব্যানার্জী #TMC #MedinipurLIve #medinipurlive #medinipurlive.com @medinipurlive #Abhishek Banerjee, #JonoSanjogYatra #TrinamooleNaboJowar #TrinamooleNaboJowar