Abhisekh Banerjee: হেলিকপ্টারে নয়, সড়ক পথে অভিষেক ব্যানার্জীর প্রবেশ, আতঙ্কে রাস্তা সংলগ্ন পঞ্চায়েতগুলি
আনন্দপুর: পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর উচ্চবিদ্যালয় মাঠে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে সমাবেশ
করতে হাজির হচ্ছেন অভিষেক ব্যানার্জী ৷ প্রথমে হেলিকপ্টারে প্রস্তুতি থাকলেও পরে সড়কপথে
আসবেন বলে প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ৷শনিবার দুপুর ১ টার পরে সমাবেশে হাজির হবেন তিনি ৷
তাতেই আতঙ্কের পরিবেশ রাস্তা সংলগ্ন পঞ্চায়েত গুলিতে ৷ কারন একমাস আগে পূর্ব মেদিনীপুরের
মারিশদা এলাকাতে সমাবেশের আগে প্রবেশ করেছিলেন গ্রামে ৷ গ্রামে উন্নয়ন না হওয়ার অভিযোগ
পেয়ে প্রধানকে সরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ সেই কান্ড ফের ঘটার আশঙ্কা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরেও
৷ তটস্থ সকলেই ৷ সমাবেশের লক্ষ্যে শেষ মুহুর্তের বিধায়কদের প্রস্তুতি বৈঠক হয়েছে শুক্রবার
বিকালে আনন্দপুর সভাস্থলে ৷ তৃণমূলের দাবি – ২ লক্ষের মতো মানুষ উপস্থিত হওয়ার
সম্ভাবনা রয়েছে ৷ ফলে সকলকেই সভাতে স্থান হয়তো দিতে পারবোনা ৷ তাই বড়ো এলইডি
লাগানো হবে বিভিন্ন স্থানে ৷
আনন্দপুরের মাঠ কেশপুরের বড়ো মাঠগুলির
অন্যতম ৷ এই মাঠ ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা ও মেদিনীপুর সাংগঠনিক জেলার মধ্যস্থলে রয়েছে ৷
দুই জেলার মানুষকে নিয়ে পঞ্চায়েত প্রস্তুতি সমাবেশ অভিষেক ব্যানার্জীকে নিয়ে ৷ এজন্য
দু সপ্তাহ ধরে জেলা জুড়ে বুথ স্তর থেকেও বৈঠক মিছিল হয়েছে ৷ সব থেকে বেশি প্রস্তুত
হয়েছে এই সমাবেশে যাওয়ার পথে থাকা গ্রামপঞ্চায়েতগুলি ৷ কারন একমাস আগে পূর্ব মেদিনীপুরের
মারিশদাতে প্রত্যন্ত গ্রামে ঢুকে গ্রামবাসীদের খোঁজ নিয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জী ৷
অনুন্নয়নের অভিযোগ পেয়ে প্রধান সহ কয়েকজনকে সরিয়ে দিয়েছিলেন ৷ এবারও তাই হওয়ার সম্ভাবনা
রয়েছে ৷
সুত্রের খবর শালবনীর রাস্তা পার হয়ে
আনন্দপুরের সমাবেশ স্থলে প্রবেশ করবেন অভিষেক ব্যানার্জী ৷ তাই শালবনীর ঐতিহ্যবাহী
কর্ণগড় মন্দিরে প্রবেশ করতে পারেন তিনি ৷ সেখান থেকেই বিভিন্ন গ্রামবাসীদের সাথেও
কথা বলতে পারেন তিনি ৷ তারপরেও রয়েছে –আনন্দপুরে যাওয়ার রাস্তায়
একাধিক গ্রামে ৷ এই রাস্তাগুলিতে থাকা শিরোমনি ,কর্ণগড়,শালবনী, আনন্দপুর গ্রামপঞ্চায়েত সদস্যরা তাই অনেকটাই
প্রস্তুত রয়েছে ৷ শিরোমনি গ্রামপঞ্চায়েত সদস্য– মলয় ঘোষ বলেন–
“ উনি আসতেই পারেন ৷ আমরা আমাদের সাধ্যমতো কাজ করেছি ৷ তবে উনি মানুষের
সাথে কথা বলবেন, কেউ উল্টো পাল্টা বললে একটা অস্বস্তিতো রয়েছেই
৷”
শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পুর্তকর্মাধ্যক্ষ
সন্দীপ সিংহ বলেন-“ ভয়টা তাদেরই যারা কোনো কাজ করেনি ৷ তবে গত
কয়েকমাস ধরে দিদির দুত ও সুরক্ষা কবচ এর মাধ্যমে মানুষের কাছে তুলে ধার হয়েছে তাতে
মানুষের অভাব অভিযোগের অনেকটা প্রশমন হয়েছে ৷ ”
শুক্রবার দুপুরে আনন্দপুর মাঠে শেষ
প্রস্তুতি বৈঠক করেছেন টিএমসির জেলার বিভিন্ন প্রান্তের বিধায়কেরা ৷ উপস্থিত বিধায়ক
তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি বলেন- “ এটা সর্বভারতীয় আলোচ্য সমাবেশ ৷
সারা রাজ্যে এই সমাবেশের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বহু মানুষ ৷ দু–লক্ষাধিক
মানুষ এখানে উপস্থিত হতে পারেন ৷ সকলকে ধরাতে পারবো বলে মনে হচ্ছেনা ৷ তাই সকলের কাছে
ক্ষমা চেয়ে এলইডি লাগিয়ে মনুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা হবে ৷ ”
এই প্রসঙ্গে বিজেপির জেলা সহ সভাপতি
অরুপ দাস বলেন-“ উনি মারিশদায় যা করেছিলেন সেটা সাংবিধানিক নয় ৷ তাছড়া
চোরতো উনি নিজে ৷ এক চোর আরেক চোরকে সাসপেন্ড করছে৷ তবে তিনি আসছেন এই রাস্তাতেও ৷
ফলে তার বাকি চোরেরা হয়তো একটি ঙয়ে থাকবে ৷ চোরোদের প্রধান কান্ডারি চোর ধরতে আসছেন৷
এটা হাস্যকর ৷ ”