Accident: রাতে বিয়ে বাড়ির শোভাযাত্রার উপর দিয়ে বেরিয়ে গেল বেপরোয়া পিকআপ ভ্যান, পিষে দিল সবকে
মেদিনীপুর: মঙ্গলবার গভীর রাতে মর্মান্তিক দুর্ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুরি এলাকায়। এক আদিবাসী যুবক এর বিয়ের আগে শোভাযাত্রা বের করেছিলেন আত্মীয়রা। রাতে ওই লম্বা শোভাযাত্রার উপর দিয়ে ঝড়ের গতিতে বেরিয়ে গেল লঙ্কা ভর্তি পিক আপ ভ্যান। ঘটনায় মারা পড়লেন একজন, আহত ১৮ চিকিৎসাধীন মেদিনীপুর হাসপাতালে। সকাল থেকে রাস্তা অবরুদ্ধ করে দিলেন আদিবাসীরা।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর সদর ব্লকের পাঁচখুরি এলাকায়। পাঁচখুরি বাজার সংলগ্ন এলাকায় আদিবাসী পাড়ায় এক আদিবাসী যুবক এর বিয়ের আয়োজন ছিল মঙ্গলবার রাতে। আদিবাসীদের নিয়ম অনুসারে, কোন যুবকের বিয়ে দিতে গেলে কোন একটি গাছের সঙ্গে তার প্রথমে বিয়ে দিতে হয়। সেই গাছের সঙ্গে বিয়ে দেওয়ার জন্য পরিবারের লোকজন ও আত্মীয়রা সুসজ্জিত শোভাযাত্রা করে যাচ্ছিলেন। পাড়া থেকে সামনে পিচ রাস্তার উপর দিয়ে লম্বা শোভাযাত্রা নিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ আনন্দে গান গাইতে গাইতে নাচতে নাচতে তারা যখন যাচ্ছিলেন তখনই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। পাচরা এলাকা থেকে প্রচন্ড গতিতে লঙ্কা বোঝায় একটি পিকআপ ভ্যান হঠাৎ করে তাদের ওই শোভাযাত্রার উপর দিয়ে বেরিয়ে যায়। অনেক মুহূর্তে কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই লন্ডভন্ড ছিটিয়ে ছড়িয়ে পড়ে যান সকলে। পিকআপ ভ্যানটি সকলকে ধাক্কা মেরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশে উল্টে যায়। ঘটনার পরেই বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় পিকআপ ভ্যানের চালক। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি-পিকআপ ভ্যানের চালক মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
ঘটনার পরে স্থানীয়রা সকলকে উদ্ধার করে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখানে চিকিৎসা চলাকালীন মঙ্গলবার সকালে এক যুবকের মৃত্যু হয়। বাকিদের চিকিৎসা চলছে সেখানে। অন্যদিকে পাঁচখুরি এলাকায় সেই ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাস্তা অবরোধ করে দেন আদিবাসীরা। তাদের দাবি-এই এলাকায় যানবাহনের গতিবিধি নিয়ন্ত্রণে বাম্পার দিতে হবে। সেই সঙ্গে ঘাতক গাড়ির চালককে গ্রেফতার করতে হবে। আহত ও নিহত সকলের জন্য ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যায় কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পুলিশ অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেছে। তবে এলাকায় একটা উত্তেজনা থাকে। অন্যদিকে হাসপাতালে ভর্তি থাকা আহতদের সঙ্গে দেখা করতে যান খড়গপুর গ্রামীণের বিধায়ক দিনেন রায়। সকলের সঙ্গে কথা বলে চিকিৎসায় তৎপরতা বাড়ানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসকদের।