Ghatal : বিশাল মাটির বাড়ি ভেঙে পড়লো হুড়মুড়িয়ে,আগাম পালিয়ে রক্ষা পরিবারের
দাসপুর: বর্ষন বন্যা শেষ হয়েছে ৷ তারপরও দীর্ঘ বর্ষন বা বন্যার প্রভাব অব্যহত ঘাটাল মহকুমা জুড়ে ৷ বন্যা কবলিত ঘাটালের দাসপুরে শীতের রাতে হঠাত্ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ো বড়ো একটি পুরনো মাটির বাড়ি ৷ আগাম বুঝতে পেরে সেখান থেকে পালিয়ে রক্ষা পেয়েছে পরিবার ৷ তবে এরপরে তাঁরা কোথা আশ্রয় নেবে তা নিয়ে নানা রকমের সংশয় তৈরী হয়েছে ৷ আপাতত শীতের রাতে বড়ো একটি পরিবার প্রতিবেশীদের বাড়িতে আশ্রিত৷
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুর এক নম্বর ব্লকের বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কলমিজোড় গ্রামে।কলমিজোড় গ্রামের বাসিন্দা অজয় পড়িয়া ও বিকাশ পড়িয়া, তারা দুই ভাইয়ের পরিবার নিয়ে দোতলা মাটির বাড়িতে বসবাস করত। তারা হঠাৎই বৃহস্পতিবার বুঝতে পারে বাড়ির দেওয়াল ফাটতে শুরু করেছে৷ সেই মতো সাবধান হয় পরিবারের সকলেই। বন্যা কবলিত এলাকার বহু বাড়ি এমন ভাবে পড়েছে ইতিপুর্বে ৷বৃহস্পতিবার রাত্রি নাগাদ বাড়িতে সশব্দে ফাটলের আওয়াজ পেয়ে দ্রুত পরিবারের সকলে বেরিয়ে চলে আসে বাড়ি থেকে ৷ বাড়ি থেকে কিছু জেনিস বেরকরার ভাবনা চলছিল৷ তার আধঘন্টা পরেই হটাত্ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে মাটির বাড়িটি।গ্রামের লোকেরা শব্দ পেয়ে সেখানে ভীড় জমায় ৷
বাড়ি ভেঙে যাওয়ায় অজয় পড়িয়া ও তার ভাই বিকাশের পরিবার অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। আগাম টের পেয়ে নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে পারলেও, বাড়ির ভিতরে থাকা জিনিসপত্র সরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছে পরিবার ৷ ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাড়িতে থাকা আসবাব সহ জিনিসপত্র। এক ভাইয়ের বাংলার বাড়ি প্রকল্পে নাম থাকলেও বাকি ভাইদের নেই। তাই সরকারি সাহায্যের কাতর আবেদন জানিয়েছে পরিবারের সদস্যরা।
শীতের মরসুমে প্রতিবেশীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে কতদিন কাটবে দুঃশ্চিন্তায় পরিবারের সদস্যরা। ইতিমধ্যে বাসুদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ত্রিপল দিয়ে সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।