খড়্গপুর: সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দিলীপ ঘোষ রইলেন খড়্গপুরেই ৷ খড়্গপুর টিএমসি-র পাল্টা শ্রদ্ধাঞ্জলি সভার আয়োজন করেছেন শহরের গিরিময়দান এলাকাতে ৷ বিকেল ৩ টার পরে বিজেপির আড়াইশো জন শহীদ কর্মীকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবেন দিলীপ ঘোষ ৷
তার আগে রোজকার মতো খড়্গপুর শহরে চা চক্রে হাজির হয়েছিলেন বোগদা এলাকাতে ৷সেখানেই দিলীপ ঘোষের টিএমসিতে যোগদানের বিষয়টি রটানোর প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী অনুগামীদের হিজড়া বলে কটাক্ষ করলেন তিনি ৷
এদিন ২১ জুলাইয়ের মমতা বন্দোপাধ্যায়ের শহীদ দিবস প্রসঙ্গে বলেন-
“এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটা বার্ষিক উৎসব করেন ডিম ভাতের। শহীদ দিবসটা দিনে দিনে ডিম ভাত দিবস হয়ে গেছে। কিন্তু হালচাল দেখে আমার যা মনে হচ্ছে এটাই শেষ শহীদ দিবস। তারপরে তৃণমূলই শহীদ হবে। ২০২৬ এ বোধহয় আর ওরা শহীদ দিবস করার সুযোগ পাবে না”।
অনেকের আপত্তি সত্ত্বেও চিরকাল এই শহীদ সমাবেশ চলবে বলে নেত্রী জানিয়েছেন, সেই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন-“তৃণমূলের ডায়াস থেকে আর এটা হবে না। অন্য কেউ হয়তো করতে পারে। কিছু রাজনৈতিক কর্মী পুলিশের গুলিতে শহীদ হয়েছেন, তাকে শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাবার জন্য যে কেউ করতে পারে। তারা কংগ্রেসের ছিল আগে। তৃণমূল তাদের লুট করে এনেছে। এই পাটিটাই লুটের পাটি। কোথাও মান সম্মান বাড়ি ঘর লুটপাট করছে, কংগ্রেসের কাছ থেকে আবার শহীদ লুট করছে। আজকে যারা নেতা হয়ে লুটেপুটে খাচ্ছে তাদের সঙ্গে সেই শহীদের কি সম্পর্ক রয়েছে? এটা শুধুমাত্র একটা রাজনৈতিক স্টান্ট। বাঙালির সেন্টিমেন্টকে জাগিয়ে ভোট নেওয়ার চেষ্টা।”
তৃণমূলের কোন নেতা মঞ্চে থাকবে সেটা নিয়ে নানা জল্পনা তৈরি হয়েছে। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন-” এমন হলে তো ঠক বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাবে। তৃণমূলে কি একটা লোকও পাওয়া যাবে যার নামে কোন অভিযোগ নেই। যার কোন কেস নেই লুটপাট দুর্নীতি করেনি। পার্টিটাই দুষ্কৃতীদের, সেখানে আর কি বাছবে ? “
একুশে জুলাই আপনার তৃণমূলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। নানা জল্পনা চলছিল।
এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন – ” তুলনামূলও চায়না দিলীপ ঘোষ তৃণমূলে যায়। বিজেপিও চায়না, দিলীপ ঘোষ যাক। তাহলে কারা করছে এটা? স্ত্রী আর পুরুষের মাঝখানে যারা থাকে তারাই এরকম দুই নম্বরি কাজ করে। তারাই করেছে। জবাব পেয়ে যাবে।”
“আজকে সারাদিন শহীদ শ্রদ্ধাঞ্জলি সভা হবে আমাদের পক্ষ থেকে। আড়াইশোর বেশি কর্মী বিভিন্ন সময় নিহত হয়েছেন। তাদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জানানো হবে। সারা রাজ্যে যেহেতু শহীদ দিবস শহীদ দিবস হচ্ছে, সেখানে আমাদেরও যারা শহীদ হয়েছেন তাদেরও শ্রদ্ধা জানানোর চেষ্টা করছি। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে যারা বলিদান দিয়েছে তাদের শ্রদ্ধাঞ্জলি দিই। তৃণমূলের তো কোন বলিদান নেই। কেবল লুটপাট।”
সম্প্রতি দিলীপ ঘোষ কে দলের পক্ষ থেকে যে বঞ্চনা করা হয়েছে সেই নিয়ে কেশিয়াড়ীতে জুন মালিয়া বার্তা দিয়েছিলেন-” দিলীপ দা আপনার সঙ্গে যা হয়েছে সেটা খুবই খারাপ ,এবার আপনি একটু ভাবুন। “
এই প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন-“আমি যা করছি ভেবেই করছি। উনাকে বরং এখানে দেখা যাচ্ছে না এখানকার লোকজন দেখতে পাচ্ছে না। সেটা নিয়ে ব্যবস্থা নিক।”
