ঘাটাল: অতি বর্ষণজনিত কারণে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় বন্যার প্রভাব পড়েছে(flooded district)। সব থেকে দুটি প্রভাবিত এলাকা হলো গড়বেতা ও ঘাটাল। দুই এলাকা মিলিয়ে প্রায় ২ লক্ষ মানুষ(2 lakh people ) প্রভাবিত হয়েছেন। জেলার ১৮৮টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত(villages affected)।(rain start ) প্লাবিত পরিস্থিতির জন্য ডিভিসিকে দায়ী করলেন রাজ্যের সেচ মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। শীর্ষ কর্তাদের দপ্তর থেকে প্রতিবাদী চিঠি পাঠানো হচ্ছে বলেও জানাচ্ছেন তিনি। সেই সাথে মাস্টার প্ল্যান নিয়ে রবিবার প্রাক্তন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জী অভিষেক ব্যানার্জী ও মমতা ব্যানার্জীকে নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন , মানস ভুঁইয়া তারও জবাব দিয়েছেন ৷
কয়েকদিনের অতি বর্ষণে শিলাবতী নদীর জলস্ফীতি হয়ে গড়বেতা ও ঘাটালে প্লাবিত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। গড়বেতা চন্দ্রকোনার পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও ঘাটাল এলাকা এখনো প্লাবিত। সবথেকে খারাপ দিক হলো-নতুন করে বর্ষণ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েক দিনে আরও ভারী বর্ষণের আশঙ্কার কথা জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। সেই পরিস্থিতি বিবেচনা করে ফের প্রস্তুতি নিয়ে ঘাটালে বৈঠক করলেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। বৈঠকের পর জানালেন বিস্তারিত।
তিনি বলেন-” জেলার ১৮৮টি গ্রামে জল ঢুকেছে। ২ লক্ষ মানুষ বিপর্যস্ত। ২০০০ মানুষকে উদ্ধার করে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল ত্রান শিবিরে। তাদের জন্য কমিউনিটি কিচেন করা হয়েছে। ৩৩ ত্রাণ শিবির ছিল। তাহলেও জলে ডুবে মৃত্যু হয়েছে দুজনের। বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর দশটি স্পিড বোট কাজ করছে। জল এবং ওষুধ পর্যাপ্ত রাখা হয়েছে। পশু চিকিৎসা ক্যাম্প করে ১৫ মেট্রিক টন পশু খাদ্য সরবরাহ করা হয়েছে প্লাবিত এলাকাতে৷”
একই সঙ্গে তিনি আরো জানিয়েছেন-” ৫৫ মেট্রিক টন চাল ঘাটালে আনা হয়েছে যা জেলাশাসক পাঠিয়েছেন। বিলি শুরু হয়ে যাবে। পানীয় জলের দুটি মোবাইল ভ্যান রাখা হয়েছে। কুড়ি হাজার মানুষকে ত্রিপল ও পোশাক দেওয়া হয়েছে। ১৯৭৮ সালের পর এমন হড়কা বৃষ্টি ও বন্যা কখনো আগে হয়নি।”
সবশেষে তিনি এই পুরো কাণ্ডের জন্য ডিভিসিকে দায়ী করেছেন। তিনি বলেন-” ডিভিসি জানিয়েছিল জল ছাড়া হবে ৬০ হাজার কিউসেক। কিন্তু ছেড়ে দিয়েছে ৭১ হাজার কিউসেক। যে কারণে এই সমস্যা। আমরা এই বিষয়টায় ডিভিসির ঊর্ধ্বততম কর্তাদের প্রতিবাদ করে চিঠি পাঠাচ্ছি।”
ঘাটালের বন্যা প্রসঙ্গে রবিবারই প্রাক্তন সাংসদ লকেট চ্যাটার্জি বিভিন্নভাবে কটাক্ষ মন্তব্য করেছিলেন। তারই পাল্টা জবাবও দিয়েছেন এদের মানস ভুঞা রবিবার রাতে।