Medinipur : একটা সময় শোনা যেত বামেরা নাকি প্রথম (Computer) কম্পিউটার যখন ৯০ এর দশকে রাজ্যে আসছিল তখন তাতে বাধা দিয়েছিল। বাম সরকারের ব্যাখ্যা ছিল-কম্পিউটার এলে কর্মসংস্থান সংকুচিত হবে, অনেক মানুষ নাকি কাজ হারাবে।ফলে তখন থমকে গিয়েছিল কিছুটা কম্পিউটার প্রবেশ ৷ কিন্তু পরবর্তীকালে যুগের প্রয়োজনে কম্পিউটার ঠিকই প্রবেশ করেছে এই রাজ্যে। তবে অনেকটা দেরিতে। আবার এটাও শোনা যায়-রাজ্যে প্রথম ডিজিটাল পোর্টাল (Digital portal) চালু করেছিলেন সিপিআইএমের বর্তমান রাজ্য সম্পাদক মোঃ সেলিমই।
তবে যাই হোক, সেই বামেরাই (Left front) এবার কম্পিউটারের মাধ্যমে ডিজিটাল জগত দখল করার লড়াইয়ে নামল পশ্চিম মেদিনীপুরে।কারন দলের সব প্রচেষ্টার পরেও আশানুরুপ ফল হয়নি ৷ ইতিপূর্বে অবশ্য কিছুটা ছিল উদ্যোগ, কিন্তু পরপর গত এক দশকের নির্বাচনী অভিজ্ঞতা তাদের বিভিন্ন রকম পথ অবলম্বন করতে বাধ্য করেছে। গত এক দশকের নির্বাচনী ফলাফলে বামেরা ক্রমশই তলানির দিকে পৌঁছে গিয়েছে। সমস্ত রকম প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পরেও কোন সুফল পায়নি তারা। বামেদের পক্ষ থেকে মহম্মদ সেলিমের ব্যাখ্যা-” মিডিয়াকে ব্যবহার করে একশ্রেণীর লোকজন মানুষের মধ্যে বামেদের বিরুদ্ধে নাকি বিষ ঢুকিয়ে দিয়েছে। সেই বিষকে বের করতেই ডিজিটাল মাধ্যমকে নিজেদের মতো করে ব্যবহার করার বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে রাজ্য বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে।”
কি হয়েছে ? এই কর্মসূচিতে রাজ্যজুড়ে(West Bengal))প্রত্যেকটি জেলাতে জেলা পার্টি অফিসে একটি করে ডিজিটাল কক্ষ তৈরি করা হচ্ছে। যেখানে কম্পিউটার ল্যাপটপ এর মাধ্যমে দলের সোশ্যাল সাইট চালাবেন দলের কর্মীরা। দলের প্রত্যেকটি বার্তা সোশ্যাল সাইটে যেমন আপলোড করবেন, তেমনি দলের পক্ষ থেকে কি কি কর্মসূচি গ্রহণ করা হচ্ছে তারও চুটিয়ে প্রচার করার টার্গেট নেওয়া হয়েছে নিজেদের পক্ষ থেকে।
মঙ্গলবার দুপুরে মেদিনীপুর শহরের মীরবাজার এলাকায় সিপিআইএমের কার্যালয়ে একটি বৈঠকের আয়োজন হয়েছিল জেলা কমিটির। জেলার সাংগঠনিক বৈঠকের পরেই দলের তৈরি করা ডিজিটাল কক্ষ উদ্বোধন করেন মোঃ সেলিম(Md selim)।সারা রাজ্য জুড়েই এই কক্ষ তৈরী করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি ৷ তারপরেই জানালেন নিজেদের লক্ষ্য।