Keshpur: পথশ্রীর বোর্ড বসিয়ে রাস্তা হাপিস, গ্রামপঞ্চায়েত অফিস বন্ধ করলেন গ্রামবাসীরা

Keshpur : পথশ্রী প্রকল্পের বোর্ড বসলেও হয়নি রাস্তা। এরপরই ‘চোর’ স্লোগান তুলে গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে ঘেরাও বিক্ষোভ বাসিন্দাদের।টানা দুঘন্টার বেশি সবটাই ঘেরাও করে রাখলেন বাসিন্দারা ৷ পরিস্থিতি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে ৷
ঘটনাটি কেশপুরের সরিষাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতে। ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের হরিণা এলাকায় গ্রামীণ রাস্তা কাদায় ভর্তি। হেঁটে যাওয়াও দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। প্রবেশ করে না কোন গাড়ি। রাস্তা এতটাই খারাপ যে অ্যাম্বুলেন্স পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে না। অসুস্থ রোগীকে খাটিয়ায় করে পিচ রাস্তা পর্যন্ত নিয়ে যেতে হয়। রাস্তা সারাইয়ের আশ্বাস বহুবার পেয়েছেন জনপ্রতিনিধিদের কাছ থেকে। সেই ধৈর্যের বাঁধ ভেঙেছে।
বছর খানেক আগে পথশ্রী প্রকল্পে বোর্ড বসেছে। কিন্তু এখনো রাস্তা হয়নি। সোমবার সরিষাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে বিক্ষোভ দেখালেন পাকাপোক্ত রাস্তার দাবিতে। না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন। ‘চোর’ স্লোগানও তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ, এতদিন বোর্ড বসেছে, কিন্তু রাস্তা হয়নি। টাকা গেল কোথায়? কন্ট্রাক্টর থেকে জনপ্রতিনিধি সবাই চোর।
এদিন দু’ঘণ্টা অবরোধ বিক্ষোভে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কেশপুর থানার পুলিশ। অবশেষে তাদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “পথশ্রী প্রকল্পের টেন্ডার হয়। বোর্ডও লাগানো হয়েছিল। প্রাথমিকভাবে কাজ শুরু করে। রাস্তায় থাকা মোরাম সরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর থেকে কাজ বন্ধ। পুরো রাস্তায় এক হাঁটু করে গর্ত, কাদা ভর্তি। হেঁটেও যাতায়াত করা যায়নি। রোগীকে হাসপাতালে নিয়ে যেতে হলে কাঁধে করে পিচ রাস্তায় নিয়ে যেতে হয়। অ্যাম্বুলেন্স প্রবেশ করতে পারে না।” যেই গ্রাম পঞ্চায়েত একটা রাস্তা সারাই করতে পারে না, সেই গ্রাম পঞ্চায়েত থাকার মানে কি? মন্তব্য স্থানীয়দের।
এই প্রসঙ্গে কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্ত গরাই বলেন-“ বিষয়টি শুনেছি ৷খোঁজ নিয়ে দেখছি কেনো হল এমন ৷কোন ঠিকাদার এই কাজ না করে ফেলে রেখেছে তাও দেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ৷”