Forest depertment: অবৈধভাবে মোরাম তোলার অভিযোগে অভিযান বন দপ্তরের

Chandra: রবিবার ছুটির দিনে জঙ্গলের পাশের জমি থেকে অবৈধভাবে তোলা হচ্ছিল মোরাম। অভিযোগ পেয়ে অভিযান চালালো মেদিনীপুর রেঞ্জের বনকর্মীরা। মোরাম তোলার অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে দেখাতে পারেনি সেই লোকজন৷ তাই সেই মোরাম তোলা বন্ধ করে জমির মালিককে কাগজ পত্র নিয়ে অফিসে তলব করেছেন বনকর্তারা ৷ ঘটনাটি রবিবার দুপুর একটা নাগাদ ধরা পড়েছে মেদিনীপুর সদরের নন্দগাড়ি এলাকায়।
জানা গিয়েছে, কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েতের নন্দগাড়ি এলাকায় একটি জায়গা থেকে গর্ত খুঁড়ে মোরাম তোলা হচ্ছিল।স্থানটি জঙ্গলের অনেকটা ভেতরেই বলা যায় ৷ স্থানীয়রা সেই কাজের বিষয়ে বনদফতরকে জানিয়েছিল ৷ দুপুরে হটাত্ খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছায় গোপগড় বিট অফিসার সহ অন্যান্য বনকর্মীরা। মোরাম তোলার অনুমতির প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখতে চাইলে কোনো কাগজ দেখাতে পারেনি। এরপরই মোরাম তোলার কাজ বন্ধ রেখে আইনি ব্যবস্থার পথে হাঁটতে শুরু করে বনদপ্তর।
বিট অফিসার মলয় নন্দী বলেন, “গোপন সূত্রে খবর পেয়েছিলাম এক জায়গা থেকে মোরাম তোলা হচ্ছে। কাজ বন্ধ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে জমি সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে। যদি বনদপ্তরের জায়গা হয় আইন অনুযায়ী কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে”। স্থানীয়দের অভিযোগ, ছুটির দিনে মাটি বা মোরাম তোলা বন্ধ থাকে। তারপরও রবিবার কিভাবে মোরাম উঠছে? তাদের আরও অভিযোগ, ওই এলাকার জঙ্গলে হাতিরা বিভিন্ন সময় অবস্থান করে। মোরাম তুলে গর্ত খুঁড়ে দিলে হাতিদের যাতায়াতের ক্ষেত্রেও অসুবিধা হবে।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি স্থানীয়দের। মলয় নন্দী বলেন, “ওই এলাকায় বিভিন্ন সময় হাতিরা অবস্থান করে। সবাইকে এর আগেও জানানো হয়েছিল হাতি চলাচলের কোনো অসুবিধা করে কোনো কাজ করা যাবে না। সে ক্ষেত্রেও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ওই জায়গার জমির উন্নতিকল্পে কঙ্কাবতী গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আপত্তিহীনজনিত শংসাপত্র দিয়েছিল। জমির উন্নতিকরণের পরিবর্তে সেখানে মোরাম তুলে গর্ত করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুখেন্দু বিকাশ জানা বলেন, “জমির সমতলকরণ বা উন্নতির জন্য অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। গর্ত খুঁড়ে মোরাম তুলে অন্য কোথাও বিক্রির জন্য নয়। অবৈধ কোনো কাজ করলে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” বিষয়টি খতিয়ে দেখছে গুড়গুড়িপাল থানার পুলিশও।