JSW salboni: জিন্দালে এখনই ১৫০০০ হাজার কর্মসংস্থানের বার্তা, পাল্টে যেতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের অর্থনৈতিক মানচিত্র
শালবনী: পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে ১৬০০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র। ১৫০০০ কর্মসংস্থান হবে বলেও জানান মুখ্যমন্ত্রী। সোমবার জিন্দলদের পাওয়ার প্ল্যান্টের শিলান্যাসে উপস্থিত হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বাংলার ‘ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর’ সৌরভ গাঙ্গুলী, জিন্দল গ্রুপের কর্ণধার সজ্জন জিন্দল, পার্থ জিন্দল সহ রাজ্যের মুখ্যসচিব ও অন্যান্য মন্ত্রী, সাংসদ ও বিধায়করা। বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি ২০০০ একরের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক করবে জিন্দল। যা বাংলার সবচেয়ে বৃহৎ। তাতে অনেকে কাজ পাবে। স্কিল ট্রেনিং সেন্টারও করার কথা জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাতেও রাজ্য সরকার সাহায্য করবে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ সজ্জন জিন্দল। রাজ্যের উন্নয়নে অগ্রগতি ঘটেছে বলেও তিনি জানান। মেদিনীপুরের মাটিতে শিল্প করার জন্য জিন্দল গোষ্ঠীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সৌরভ গাঙ্গুলী।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে ১৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। শালবনীতে রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় জেএসডব্লিউ-র তত্বাবধানে স্কিল ডেভেলপমেন্ট ট্রেনিং সেন্টার খোলা হবে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায় ৯ টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাব হয়েছে। এই জেলায় দুটি ইকনমিক করিডর তৈরী হয়েছে। আরও ৫ টা বড়ো কোম্পানি আসছে। যারা বলে বাংলায় শিল্প নেই, তারা এসে দেখে যান। আমাকে ক্রিটিসাইজ করার আগে নিজেরা ভাবুন। ১৫ দিনের মধ্যে আরও অনেক প্রকল্প হবে। ডক্টর দেবী শেঠী একটা বড় হাসপাতাল করতে চলেছেন। আরও অনেক কিছু আছে একদিনে সব বলবো না। পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম এই দুই জেলা আমার খুব প্রিয়। ৩০ তারিখ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার দীঘায় পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে বড়ো মন্দির তৈরি হচ্ছে। একদিকে সমুদ্র সৈকত অন্যদিকে জগন্নাথ মন্দির, অনেক মানুষ আসবেন দীঘায়। শিল্পের দিক থেকে আগামী দিনে ভারতবর্ষের প্রধান গন্তব্য হবে পশ্চিমবঙ্গ। আমি ধন্যবাদ জানায় সজ্জন ও সৌরভ গাঙ্গুলিকে।”
মুখ্যমন্ত্রীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে সজ্জন জিন্দল বলেন, “দিদির ভালোবাসা এতটাই যে, এখান থেকে যেতে ইচ্ছে করে না। শালবনীর স্বপ্ন জেএসডব্লিউ। রাস্তায় আসার সময় অনেক উন্নয়ন দেখেছি। ১০ বছর পর শালবনীতে এলাম। পেছনের দশ বছরে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। দেখে মনে হল এমনই উন্নয়ন প্রয়োজন আমাদের দেশে। যতজনকেই জানতে চেয়েছি সবাই খুব খুশি আছে দিদির উন্নয়নে। আমার ছেলে পার্থ এখানে প্রায় আসে। এখানকার ছেলেমেয়েদের সঙ্গে ফুটবল খেলে, ক্রিকেট খেলে। এখানে কাজ করার ক্ষেত্রে আমরা পরিবারের মতো ভাবি। শালবনী কৃষি প্রধান এলাকা। তারা জমি দিয়েছে ফলে এখানকার লোকের উপকৃত হবে শিল্প হলে। কাজ পাবেন তারা। এখানে যে পাওয়ার প্ল্যান্ট হবে তা উন্নত প্রযুক্তির। কোন দূষণ হবে না। জিন্দলের স্কিল ডেভেলপমেন্ট স্কুল যাতে প্রতিষ্ঠা হয় তার কথাও জানান তিনি।”
জমি দাতারা জানালেন -” জমি দিয়ে হতাশ হয়ে গিয়েছিলাম অনেকেই। কিছুটা আশার আলো দেখতে পাচ্ছি এবার। ১২০০ জন জমিদাতা রয়েছে। আড়াইশো জন বিভিন্ন রকম কাজ পেয়েছে। তবে অনেকেই চাকরির অপেক্ষায় রয়েছেন। এবার অন্তত সুদিন ফিরবে বলে মনে করি।”