Chandrakona: পরপুরুষের সাথে পালিয়েছে মা, চারবছরের শিশুকে বোঝাতে জীবিত মা-এর শ্রাদ্ধ ছেলেকে দিয়েই
চন্দ্রকোনা রোড: রামনবমীর উত্সব দেখার নাম করে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মহিলা ৷ উত্সবের ভীড়ে স্বামীর সাথে সন্তানকে রেখে ফেরার হয়ে যায় ওই মহিলা হঠাত্ করে ৷ এলাকার পাশেই থাকা ওই উত্সবের ভীড়ে স্ত্রীকে ফোন করলে সেটি সুইচ অফ পান ৷ অনেক সময় ধরে খোঁজ করার পরেও মেলেনি সন্ধান ৷ পরে খোঁজ পান এক যুবকের সাথে পালিয়েছেন সাড়ে ৬ বছর ধরে বিয়ে করা স্ত্রী ৷ কোনোভাবে যোগাযোগ করে পরিবার ৷ সেখানে ওই মহিলা জানিয়ে দেন – ওই স্বামী সন্তান নিয়ে থাকতে চাননা ৷ ফিরতে চাননা তিনি ৷ অন্যদিকে চার বছরের সন্তান মা মা করে কেঁদেই চলেছে ৷ শেষমেষ ওই শিশুর মামা বাড়ির পরিবার ও বাবা-দাদু সকলে মিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে শিশুকে বোঝানো হয় –তাঁর মা দুর্ঘটনাতে মারা গিয়েছে ৷ তাই তাঁর শ্রাদ্ধ করতে হবে ৷ ছোটো ৪ বছরের শিশুকে দিয়েই ব্রাহ্মন ডেকে শ্রাদ্ধ করানো হল সকলেই উপস্থিতিতেই ৷
ঘটনায় অবাক পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা রোডের দরখোলা এলাকার প্রতিবেশী থেকে এলাকাবাসী সকলেই। রীতিমতো চার বছরের শিশুর মাথা ন্যাড়া করে, মায়ের ছবি সামনে রেখে ব্রাক্ষ্মণ ডেকে শাস্ত্রমতে মন্ত্রপাঠ করিয়ে চার বছরের শিশুকে দিয়ে করানো হলো তার মায়ের শ্রাদ্ধ শান্তি। পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৬ ই এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা দেখার নাম করে শিশুটির মা বাড়ি থেকে বেরোয়৷ স্বামী সন্তানের সাথে বের হলেও ভীড়ের সুযোগে তাদের থেকে আলাদা হয়ে ফেরার হয়ে যান৷ তারপর থেকে আজ পর্যন্ত কোন খোঁজ নেই ,ফোন সুইচ অফ মোবাইলের।
বহু খোঁজ খবরের পর তার স্বামী অভিজিৎ ঘোষ ও শ্বশুরবাড়ির পরিবার জানতে পারেন তার স্ত্রী অন্য কোন পুরুষের সঙ্গে পালিয়েছে এবং সে আর ফিরবেনা। এদিকে মাকে দেখতে না পেয়ে চার বছরের শিশু বাড়ির সকলের কাছে বারে বারে মায়ের খোঁজ করে।কান্নাকাটি করছে প্রায়শই৷ তাই চার বছরের শিশুকে বোঝাতে যে তার মা আর আর নেই, আর সে তার মাকে দেখতে পাবেনা, তাই এই সিদ্ধান্ত নেয় শিশুটির পরিবার এবং শিশুর মামা বাড়ির পরিবার। দুই পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত থেকে শিশুকে দিয়ে তার মায়ের শ্রাদ্ধ শান্তি করানো হয়। শিশুটিকে জানানো হয়, দুর্ঘটনায় তার মা মারা গেছে, আর ফিরে আসবেনা। শ্রাদ্ধের সময় নিয়ম পালন করানো হয়েছে শিশুকে দিয়েই ৷