Elephant attack: পরিকল্পিতভাবে হাতির দ্বারা ক্ষতি করা হচ্ছে চাষের, রাস্তা অবরুদ্ধ করে দিলেন কৃষকেরা
চাঁদড়া: বনদপ্তরের উদাসীনতা ও পরিকল্পনার কারণেই নাকি চাষিরা ক্রমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাতির দ্বারা। তিন দিনে ৫০ বিঘার বেশি ধানের জমি ক্ষতি হওয়ার পর প্রধান রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ সকাল থেকে মেদিনীপুর সদর ব্লকের চাঁদড়া এলাকায়। পুলিশ ও বনদপ্তরের কর্মীরা নাজেহাল হয়ে গেলেন সকাল থেকেই এই অবরুদ্ধ কৃষকদের ক্ষোভ মেটাতে। কৃষকদের দাবি-“হাতিকে পরিকল্পিতভাবে হুলা পার্টির সদস্যদের দিয়ে নাকি বনদপ্তরের কর্মীরা নির্দিষ্ট পথে পরিচালনা করছেন। যেখানে চাষীদের ক্ষতি হচ্ছে বেশি। এটাতে কোন অসাধু উদ্দেশ্য সাধন করার চেষ্টা চলছে। তাই অবিলম্বে এর বিহিত চাই আমরা।”
গত তিনদিন ধরেই মেদিনীপুর সদরের চাঁদড়া এলাকাতে প্রায় ৪৬ টির বেশি হাতি প্রবেশ করেছে। তিন দিন ধরে হাতি গুলি প্রবেশ করার পর একের পর এক ধানের জমি নষ্ট করে চলেছে। কৃষকদের দাবি- বনদপ্তরের নিয়োগ করা হুলা পার্টির সদস্যরা বনদপ্তর এর ইশারাতে হাতিগুলিকে এলাকা ছাড়া করার পরিবর্তে ধান জমির দিকেই তাড়িয়ে দিচ্ছেন। এতে হাতিগুলি ইতি উতি হয়ে যাওয়া থেকে ধান খেয়ে একটা জায়গায় থেকে যাচ্ছে। তাতে হাতিগুলি নিয়ে খানিকটা নিশ্চিন্তে থাকতে পারছে হয়তো বনের অফিসাররা। কিন্তু চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে কৃষকেরা। তাই এর প্রতিবাদ করছি আমরা। কারণ বিশাল ক্ষতি হলেও ক্ষতিপূরণ কিছু পাওয়া যায় না।
এমন একাধিক অভিযোগ কৃষকদের, উত্তেজিত কৃষকেরা শনিবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর সদরের দেপাড়া ও চাঁদড়া এলাকা থেকে গিয়ে চাঁদড়া সংলগ্ন এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে দেন। রাস্তার ওপর সাইকেল ফেলে বাঁশ দিয়ে মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম রোড অবরুদ্ধ করে দেন। অফিসের সময়ে দীর্ঘ যানজট পরিস্থিতি তৈরি হয়। সামাল দিতে ছুটে আসে গুড়গুড়ি পাল থানার পুলিশ ও বনদপ্তরের কর্মীরা। তাদের দাবি এর চূড়ান্ত বিহিত না হওয়া পর্যন্ত এই অবস্থা থাকবে।
চাঁদড়া রেঞ্জের আধিকারিক সৈকত বিশ্বাস বলেন, “হাতির দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। হাতির পালকে অন্যত্র সরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে যত দ্রুত সম্ভব তাদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।”