forest hunting: বনদপ্তরের বার্তা মেনেই রক্তপাতহীন শিকার উৎসব মেদিনীপুরে
চাঁদড়া: উৎসবে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছিল বনকর্মীরা। শিকার উৎসব যাতে রক্তপাতহীন হয় সেই বার্তা নিয়ে মোটর সাইকেল র্যালিও করেছিল বনকর্মীদের সংগঠন। দিনশেষে মেদিনীপুর সদরের সবচেয়ে বড় শিকার উৎসব হলো রক্তপাতহীন। বৃহস্পতিবার মেদিনীপুর রেঞ্জের জামশোলে ছিল শিকারের নির্ধারিত দিন। যেখানে ভিন জেলা থেকেও শিকারিরা যোগ দেন। শিকার উৎসব উপলক্ষে ওই এলাকায় এক প্রকার মেলা বসে গিয়েছিল। বুধবার সন্ধ্যা থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার ৪০টি এলাকায় নাকা পয়েন্ট করে পুলিশ ও বনকর্মীরা। সামিল হয়েছিল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলিও।
জঙ্গল পথে বসানো হয়েছিল বিভিন্ন ড্রপ গেট। তা সত্ত্বেও প্রবেশ করেছিল বেশ কিছু শিকারি। যা বনদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে। তবে স্থানীয়রদের অংশগ্রহণ একেবারে ছিল না বললেই চলে। যার ফলে বিগত বছরগুলির থেকে অনেকটাই কম শিকারি ছিল। অনেক সময় রাস্তায় শিকারিদের দেখতে পেয়ে বনকর্মীরা তাদের বার্তা দেন বন্যপ্রাণী হত্যা না করার। তারাও কথা দিয়েছিল, উৎসবে জমায়েত করবে কোন বন্যপ্রাণী মারবেন না। দিনশেষে সেই কথাই যেন রাখলো শিকারিরা।
বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে শিকার উৎসবের বহু আগে থেকেই আদিবাসী সমাজের মোড়ল, যৌথ বনপরিচালন কমিটির সদস্যদের নিয়ে বৈঠকের পাশাপাশি মাইকিং করে প্রচার চালিয়েছিল বনদপ্তর। বহু জায়গায় দেখা গিয়েছে শিকারিদের বুঝিয়ে ফেরত পাঠাতে। যদিও শিকারিদের দাবি, তারা বছরে একবার আসেন এই জঙ্গলে। বন্যপ্রাণ হত্যা না করে জঙ্গলে ঘুরবেন।
বন্যপ্রাণ হত্যা আটকাতে বনদপ্তরের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘উলফ’-এর সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন। আগের থেকে শিকারির সংখ্যাও অনেক কমেছে বলে মানছেন পশুপ্রেমি সংগঠনগুলি। মেদিনীপুরের রেঞ্জার শান্তনু কুলভি বলেন, “আমরা বিভিন্নভাবে বার্তা দিয়েছিলাম রক্তপাতহীন উৎসব পালনের জন্য। কোন বন্যপ্রাণী হত্যা হয়নি। অনেকেই একটি নির্দিষ্ট স্থানে জমায়েতে আনন্দ করে ফিরে গিয়েছেন।”