Medinipur: কেশপুরের পর এবার ভাদুতলায় গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে ক্ষোভ স্থানীয়দের একাংশের। তাদের অভিযোগ, জায়গার পরিমাপ না করে গাছ কাটছে। তাতে বনদপ্তরের জায়গায় থাকা গাছ কেটে নেওয়ার চেষ্টায় এক ব্যক্তি। গাছ কাটা শুরু হলে ক্ষোভ দেখায় তারা। দ্রুত পদক্ষেপ নেয় বনদপ্তর। পাশাপাশি মেদিনীপুর সদরে বনদপ্তরের জঙ্গলে প্রবেশ করে মোটা গাছ কাটার ঘটনায় হাতেনাতে ধরা পড়লো এক ব্যক্তি। তাকে আটক করে মেদিনীপুর রেঞ্জ অফিসে নিয়ে যায় বনকর্মীরা। তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বনাধিকারিক।
ভাদুতলা রেঞ্জের বালিজুড়ি এলাকায় এক ব্যক্তির জায়গায় থাকা গাছ কাটার জন্য বনদপ্তরে অনুমতি নিয়েছিল। সেই মতো গাছ কাটতেও শুরু করে। তারপরেই স্থানীয় বাসিন্দারা বাধা দেন। তাদের দাবি, জায়গার পরিমাপ না করে গাছ কাটা যাবে না। পাশেই রয়েছে বনদপ্তরের জায়গা। তাতেও গাছ রয়েছে। নিজের জায়গা দাবি করে বনদপ্তরের গাছও কেটে নিলেও বোঝা যাবে না। খবর পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ করে বনদপ্তর।
স্থানীয় বাসিন্দা ভোলানাথ খামরুই বলেন, “এক ব্যক্তির কত পরিমাণ জায়গা আছে তার পরিমাপ না করে গাছ কাটতে শুরু করে দেয়। আমরা জানিয়েছিলাম আগে জায়গার পরিমাপ করুক। পাশে সরকারি খাস জায়গা এবং বনদপ্তরের জায়গা রয়েছে। ফলে সেই জায়গার গাছও কেটে নিলে আমরা বুঝতে পারব না।” ভাদুতলা রেঞ্জের আধিকারিক শুভাশিস চৌধুরী জানিয়েছেন, “অভিযোগ পেয়ে গাছ কাটা বন্ধ রাখা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” অন্যদিকে মেদিনীপুর সদরের ফুলপাহাড়ি এলাকায় জঙ্গলে ঢুকে গাছ কাটতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়লেন এক ব্যক্তি। বনদপ্তর জানিয়েছে, ওই ব্যক্তির নাম সনাতন মুখার্জী। বাড়ি খয়েরবনী এলাকায়। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তিকে এর আগেও একাধিকবার সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও জ্বালানি কাঠ সংগ্রহের নামে জঙ্গলে ঢুকে মোটা গাছ কেটে নেয়। শুক্রবার তাকে হাতেনাতে তাকে ধরে বনকর্মীরা। তার বাড়ি থেকেও বহু গাছ উদ্ধার করেছে। গোপগড় বিটের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক মলয় নন্দী বলেন, “জঙ্গলে গাছ কাটার সময় হাতেনাতে ধরা পড়েছে ওই ব্যক্তি। কাটা গাছও উদ্ধার করা হয়েছে তার বাড়ি থেকে। যার কোন বৈধ কাগজ নেই। তাকে আটক করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কাজে আর কারা কারা যুক্ত তা খতিয়ে দেখা হবে।” যাদের বাড়িতে বা দোকানে জঙ্গলের কাঠ পাওয়া যাবে তাদের বিরুদ্ধেও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন এক বনাধিকারিক।