Jangalmahal: শিকারে ঢুকলেই বিপদ! হুশিয়ারি বনদপ্তরের! মেদিনীপুরে বিলি লিফলেট
মেদিনীপুর: মার্চ মাসের মাঝখান থেকেই জঙ্গলের গভীরে শিকার উৎসব শুরু হয়ে যায়। আদিবাসীদের পক্ষ থেকে এই উৎসবে বহু বন্যপ্রাণী মারা হয় বলে বন দপ্তরের কাছে খবর থাকে। পুরনো প্রথা অনুসারে আদিবাসীদের এই শিকার করতে হয় বলে দাবি তাদের। অন্যদিকে বনদপ্তরের দাবি-এই বন্যপ্রাণ হত্যা করতে দেওয়া যাবে না। এবারও সেই দাবিতে অনড় বনদপ্তর। রবিবার সকাল থেকে মেদিনীপুর সদরের বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করে সতর্কতা প্রচার করলো বনকর্মীরা। রাস্তায় বের হলো ঐরাবত গাড়ি।
প্রতিবছরই মেদিনীপুর সদরের চাঁদরাতে জঙ্গল মহল এলাকায় আদিবাসীরা শিকার উৎসবে মেতে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে বনদপ্তর সেই শিকার থেকে তাদেরকে সরিয়ে আনতে বিভিন্ন রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। যা নিয়ে সংঘাত পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছে। এ বছরও সেই মুহূর্ত তৈরি হয়েছে। তাই আগাম সতর্কতা প্রচারের উদ্যোগ বনদপ্তরে।
বনদপ্তরের মেদিনীপুর বন বিভাগ এর পক্ষ থেকে-রবিবার সকাল থেকেই মেদিনীপুর স্টেশন, মেদিনীপুর সেন্ট্রাল বাস স্ট্যান্ড, মেদিনীপুরের জনবহুল বাজার, জঙ্গলমহলের চাঁদড়াতে, কঙ্কাবতী ,মনিদহ এলাকাতেও মাইকিং করে প্রচার শুরু করেছে বনদপ্তর। পরিষ্কার হুঁশিয়ারি দিয়ে দেওয়া হয়েছে শিকার উৎসবের নামে কোন ভাবে বন্যপ্রাণী হত্যা করা চলবে না। এমনকি শিকার উৎসবের লক্ষ্যে কোন অস্ত্র নিয়ে জঙ্গলের ভেতরে প্রবেশ করলেও ধরা পড়লে তার বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও মাইকিং করে ঘোষণা করা হচ্ছে।
বনকর্তারা জানিয়েছেন-” কোনভাবেই যাতে শিকার এর নাম করে বন্যপ্রাণী হত্যা না হয় তার জন্য হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। অনেকেই শিকার উৎসবের আগে জঙ্গলের ভেতরে আগুন লাগিয়ে দেয়। চারিদিকে আগুন লাগিয়ে বন্যপ্রাণীদের একত্রিত করে শিকার করার চেষ্টা করে। অনেকেই আবার মজা করে আগুন লাগানো ঘটনা ঘটিয়ে থাকে জঙ্গলে। পরে গাছ পুড়ে মারা গেল সেখান থেকে কাঠ সংগ্রহ করে থাকে। এই সমস্ত বিষয়ে সাবধান করা হয়েছে সকলকে।”