Child adoption: ১৩ বছর আগে খড়গপুর স্টেশনে ফেলে গিয়েছিল কেউ, ইটালি থেকে এলো বাবা মা
মেদিনীপুর: ২০১২ সালে খড়গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ছোট্ট একটি নাবালিকা উদ্ধার হয়েছিল। তখন মুখ ফুটে কিছুটা কথা বলতে পারছিল সে। রেল পুলিশ উদ্ধার করার পর সে তার ঠিকানা বলেছিল মুর্শিদাবাদ। চাইল্ড লাইন ও প্রশাসনের লোকেরা তার অল্প বলা বর্ণনা অনুসারে মুর্শিদাবাদে বাড়িতে বাড়িতে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে বাবা-মায়ের খোঁজে। পাওয়া যায়নি। অবশেষে মেদিনীপুরের সরকারি হোমে তার স্থান হয়েছিল। সেখানেই বড় হয়েছে। এবার তার মত বাচ্চাকে দত্তক নেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিল ইতালির এক চিকিৎসক দম্পতি। প্রশাসনের আধিকারিকরা সমস্ত কিছু ভেরিফিকেশনের পর জেলাশাসকের নির্দেশে সেই দত্তক প্রক্রিয়া সম্পন্ন করলেন মঙ্গলবার দুপুরে। হাসতে হাসতে ইটালি গেল মা বাবা হারা হালিমা।
এদিনের এই দত্তক প্রক্রিয়ায় উপস্থিত অতিরিক্ত জেলা শাসক ক্যাম্পা হননাইয়া বলেন-” জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরীর নির্দেশে সমস্ত ভেরিফিকেশন সম্পন্ন করে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার এই সরকারি হোমে লালন পালন হওয়া ৬২ জন বাচ্চা এইভাবে দত্তক দেওয়া হয়েছে। যার মধ্যে দশজন বাচ্চা বিদেশে গিয়েছে।”

প্রশাসনের আধিকারিকরা এদিন জানিয়েছেন, ছোট্ট নাবালিকা মেয়েটিকে খড়গপুর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় ২০১২ সালে কেউবা কারা ফেলে গিয়েছিল। অল্প কথা বলতে পারছিল সে। তাতে সে জানিয়েছিল তার বাড়ি মুর্শিদাবাদ। তার দেওয়া বর্ণনা অনুসারে বিভিন্ন এলাকায় মুর্শিদাবাদে তার পরিবারের খোঁজ করা হয়েছে। কিন্তু কোন সন্ধান মেলেনি। অবশেষে তাকে সরকারি হোমে রেখেই বড় করা হচ্ছিল। অন্যদিকে ইতালির এক চিকিৎসক দম্পতি তারা এই ধরনের কন্যা সন্তান দত্তক নেওয়ার জন্য আবেদন করেছিলেন। আন্তর্জাতিক সংস্থার কাছে করা সেই আবেদন হাতঘুরে এসে হাজির হয়েছিল এই রাজ্যের মেদিনীপুরের সরকারি হোম এর আধিকারিকদের কাছে। এরপর প্রশাসনিক বিভিন্ন ভেরিফিকেশন হয়। সমস্ত তথ্য নিশ্চিতভাবে পরীক্ষা হওয়ার পর আধিকারিকরা এই দত্তক দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নেয়। সেই মতো হোমে পালিত হওয়া সেই হালিমা নামের নাবালিকাকে নতুন বাবা মায়ের হাতে দত্তক দেওয়া হল মঙ্গলবার।