Urs Utsav: শুরু হয়ে গেল আন্তর্জাতিক উরুষ উত্সব, নেই বাংলাদেশীর ভীড়
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহরে শুরু হয়ে গেল আন্তর্জাতিক উরুষ উত্সব ৷ যেখানে প্রতিবছরই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের লোকজন সহ বাংলাদেশ থেকেও প্রায় ৫ থেকে ৬ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়ে থাকতেন ৷ বাংলাদেশীদের উরুষ উত্সবের মুল লক্ষ্য থাকতো “বড়ো হুজুর”-কে শ্রদ্ধা জানানো ৷ এই জোড়ামসজিদ চত্বরে থাকা বিভিন্ন ধর্মগুরুর বংশধরদের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানানো৷ সেই কাজ সেরে বাংলাদেশের লোকেরা উত্সবে এসে খালি পায়ে পুরো মেদিনীপুর শহর ঘুরত ৷ শহরে থাকা নানা মাঝারে শ্রদ্ধা জানিয়ে মেদিনীপুর শহর থেকে বিভিন্ন শস্যের বীজ, মাদুর, ধাতব বিভিন্ন জিনিস কিনে নিয়ে যেতো যা বাংলাদেশে দুস্প্রাপ্য ৷ এতে কয়েক কোটি টাকা ব্যাবসা হতো মেদিনীপুর শহরেই ৷ কিন্তু এবার ভারত বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতির কারনে ভারতে উরুষ স্পেশাল ট্রেনকে অনুমতি দেয়নি ভারত৷ সেই সাথে বাংলাদেশীদের বেশিরভাগকেই ভিসার অনুমতি দেয় নি ভারতে প্রবেশের ৷ ফলে স্থানীয় ভীড় ছাড়া এবার উরুষ উত্সবে সেই বাংলাদেশীদের ভীড় বা ব্যাবসা নেই৷ উরুষ মেলাতে দোকান দিয়েও তাই লোকসানের আশঙ্কা তৈরী হয়েছে দোকানদারদের ৷

মেদিনীপুর শহরের এই উরুষ উত্সবে প্রায় একশো বছর ধরে বাংলাদেশের লোকেরা হাজির হচ্ছেন ৷ তাদের কাছে মেদিনীপুর শহরের এই উতসবে যোগ দেওয়া হজের সমান মর্যাদার ৷ তাই বাংলাদেশের কয়েক লক্ষ মানুষ প্রতি বছর এই উত্সবে উপস্থিত হতে সে দেশের সরকারের কাছে আবেদন করেন ৷ তাদের মধ্যে লটারি করে আড়াই থেকে তিন হাজার লোককে বাংলাদেশের সরকার ভারতবর্ষের মেদিনীপুর শহরের এই উত্সবে নিয়ে হাজির হতো বিশেষ ট্রেনে করে ৷ প্রায় একশো বছর ধরে এই বাংলাদেশ উরুষ স্পেশাল পুণ্যার্থী বোঝাই ট্রেনটি ভারতে প্রবেশ করতো৷ কিন্তু এই বছর প্রথম সেই শতবর্ষের পুরনো পদ্ধতিতে তাল কাটলো ৷ দুই দেশের সম্পর্কের অবনতির কারনে বাংলাদেশের পুণ্যার্থী সহ ট্রেনকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয় নি ৷ ব্যাক্তিগত ভাবে যারা আসতো তাদের ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি হয়েছে ফলে এবার এই উত্সব একেবারে ফিকে
মেলাতে আয়োজকরা জানিয়েছেন- এই উত্সবে কয়েক কোটি টাকার ব্যাবসা হতো শুধু মাত্র বংলাদেশীদের কারনে৷ তাদের থাকার জন্য লজ, বাড়ি ভাড়া সহ বিভিন্ন খাবারের হোটেলে বিক্রি হতো৷ পাশপাশি বাজারগুলিতে থেকেও প্রচুর জিনিসপত্র বিক্রি হতো ৷ এবার সেই ব্যাবসা থাকছেনা ৷ মেলাতে দোকান নিয়ে এসেও সকলেই তাই হতাশ ৷