Road accident: পথদু্র্ঘটনাতে শীর্ষ তালিকায় পশ্চিম মেদিনীপুর, মানুষ বাঁচাতে বাড়লো তত্পরতা
Medinipur : রাজ্যের জেলাগুলির মধ্যে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যুর সংখ্যার নিরিখে পশ্চিম মেদিনীপুর রয়েছে উপরের দিকেই। পরিস্থিতি বিবেচনা করে জেলা জুড়ে পথ নিরাপত্তা সপ্তাহে জোর দিল প্রশাসন৷ নানা পদ্ধতি অবলম্বন করে দুর্ঘটনা কমানোর চেষ্টা হল জানুয়ারী থেকেই ৷ ‘ডিস্ট্রিক্ট রোড সেফটি কমিটি’ সূত্রে খবর, ২০২৪ সালে এই জেলায় পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে ৭৪১টি। এরমধ্যে প্রাণঘাতী দুর্ঘটনা ,যেখানে এক বা একাধিকজনের মৃত্যু হয়েছে-এমন ঘটেছে ৪৮২টি। মৃত্যু হয়েছে ৫০৮ জনের। জখম হয়েছেন ৪৯৬ জন। ওই কমিটি সূত্রে খবর, জেলায় পথ দুর্ঘটনা বৃদ্ধির পিছনে কী কী কারণ রয়েছে, সে নিয়ে নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা বৈঠক হয়।
জেলার উপর দিয়ে চলে গিয়েছে একাধিক জাতীয় ও রাজ্য সড়ক। পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার অনেকগুলিই ঘটেছে জাতীয় এবং রাজ্য সড়কেই। ক’বছর আগে ছবিটা কেমন ছিল? ২০১৯ সালে এই জেলায় ৬৬৫টি পথ দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৪০১ জনের। জখম হয়েছিলেন ৭০১ জন। ২০২০ সালে জেলায় ৫৯৯টি দুর্ঘটনা ঘটেছিল। মৃত্যু হয়েছিল ৪২৭ জনের। জখম হয়েছিলেন ৪৪৪ জন।
গত বছর জেলায় পথ দুর্ঘটনায় যে ৫০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, তারমধ্যে কোন থানা এলাকায় কতজনের মৃত্যু হয়েছে? ‘ডিস্ট্রিক্ট রোড সেফটি কমিটি’ সূত্রে খবর, এর মধ্যে কোতোয়ালি থানা এলাকায় ২৪ জন, কেশপুরে ২০ জন, আনন্দপুরে ১৪ জন,শালবনিতে ২৩ জন, গড়বেতায় ৫২ জন, গোয়ালতোড়ে ১৭ জন, গুড়গুড়িপালে ১৪ জন, খড়াপুর লোকালে ৮৫ জনের, খড়গপুর টাউনে ১৫ জনের, ডেবরায় ৪৩ জনের, সবংয়ে ১৯ জনের, পিংলায় ৮ জনের, নারায়ণগড়ে ১৯ জনের, বেলদায় ২৬ জনের, কেশিয়াড়িতে ১১ জনের, দাঁতনে ১৭ জনের, মোহনপুরে ১২ জনের, ঘাটালে ২০ জনের, দাসপুরে ৩৯ জনের, চন্দ্রকোনা থানা এলাকায় ৩০ জন রয়েছেন।
পর্যালোচনায় দেখা গিয়েছে, বেআইনি দখলের কারণে কিছু এলাকায় রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে উঠে এসেছে অস্বাভাবিক জোরে গাড়ি চালানোর সমস্যা। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর সমস্যাও সামনে এসেছে। গাড়ি চালানোর সময়ে মোবাইলের ব্যবহার-সহ আরও একাধিক কারণকে দুর্ঘটনার কারণ হিসাবে দায়ী করা হয়েছে। দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদেরি বলেন, “পথ দুর্ঘটনা রোধে কী কী ব্যবস্থার উন্নতি ঘটানো প্রয়োজন, সে সব খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” জেলা পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকারও বলেন, “জেলার কোন কোন এলাকায় তুলনায় বেশি দুর্ঘটনা ঘটছে, কী কারণ, সে সব খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।” বিধায়ক সুজয় হাজরা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে প্রশাসনকে আরও তত্পর হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন৷
আপাতত ২৭ থেকে ৩১ জানুয়ারি পথ নিরাপত্তা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে পশ্চিম মেদিনীপুরে। পথ নিরাপত্তা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে বেশ কিছু পদক্ষেপ শুরু হয়েছে।