Banglar Bari: সমীক্ষক দলের হয়ে স্বামী-র ভুল তথ্য দিয়ে বাংলার বাড়ি পাইয়ে দিয়েছিলেন, ধরা পড়তেই টাকা ফেরত দিলেন মহিলা সার্ভেয়ার
দাসপুর: কয়েকদিন আগেই দাসপুরের ডিহিচেতুয়া গ্রামে এক পাকা বাড়ির বাসিন্দা, স্বচ্ছল ব্যক্তির নামে বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা এসেছিল। অভিযোগ উঠেছিল-উপভোক্তার স্ত্রী নিজে সার্ভেয়ার ছিলেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের। স্বামীর বাড়ি গোয়াল ঘর দেখিয়ে প্রকল্পের টাকা হাতিয়েছিলেন। খবর হয়ে যেতে তদন্ত শুরু করেন বিডিও। এরপরেই সেই মহিলা সার্ভেয়ার একাউন্টে ক্রেডিট হয়ে যাওয়া টাকা নিয়ে গিয়ে ফেরত দিলেন বিডিও অফিসে।
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর ১ নম্বর ব্লকের ডিহিচেতুয়া গ্রামে। ওই গ্রামের বাসিন্দা, বামাপদ চাকি অপেক্ষাকৃত সচ্ছল ব্যক্তি বলেই জানেন সকলে। নিজেদের পাকা বাড়ি রয়েছে। এক ছেলে ভিন রাজ্যের সোনার জুয়েলারি কারিগর। তার স্ত্রী রিংকু চাকি একজন স্থানীয় স্থানীয় আশা কর্মী। গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে তাকে ওই এলাকায় বাংলার বাড়ি প্রকল্পের যে সার্ভে টিম ছিল, তার পথপ্রদর্শক হিসেবে নিযুক্ত করা হয়েছিল। অর্থাৎ সরকারি সার্ভে করার টিম এলে তাদের এলাকা ঘুরিয়ে সার্ভে কাজের সঠিক তথ্য দেওয়া তার কাজ ছিল।
সরকারি হিসেবে দেখা গিয়েছে, রিঙ্কু চাকীর স্বামী বামাপদ চাকির নামে ওই বাংলার বাড়ির জন্য আবেদন করা হয়েছিল। সার্ভারদের রিংকু চাকি দেখিয়েছিল-ওই বামাপদ চাকি একটি গোয়াল ঘরে থাকেন। তার নাকি কোন বড় বাড়ি নেই। ভাঙ্গা গোয়ালঘর দেখেই সার্ভেয়াররা বাংলার বাড়ি মঞ্জুর করে দিয়েছিলেন। সেই হিসেবে প্রথম কিস্তির ৬০ হাজার টাকা ক্রেডিট হয়ে গিয়েছিল বামাপদ চাকরির একাউন্টে। তারপরে বিষয়টি প্রকাশ্যে চলে আসে। অভিযোগ ওঠে রিঙ্কু চাকি পক্ষপাতিত্ব করে এ কাজ করিয়েছেন।
ঘটনার তদন্তে নামে দাসপুর ১ ব্লকের বিডিও দীপঙ্কর বিশ্বাস। দেখা যায় অভিযোগ সত্য। এরপরেই তিনি যে একাউন্টে টাকা ক্রেডিট হয়েছিল ব্যাংককে নির্দেশ দিয়ে সেই অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করে দেন। আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার আগেই রিঙ্কু চাকি নগদ টাকা এনে বিডিও-র হাতে তুলে দেন।
বিডিও জানান-” ঘটনার তদন্ত করে দেখা দিয়েছে অভিযোগ সত্য। রিংকু চাকি সব স্বীকার করেছেন। তবে ওনার কাজকর্মে সেরকম আয় নেই বলে এটা করেছিলেন। আমরা বিষয়টা বিবেচনা করেছি। ব্যাংকে একাউন্ট ফ্রিজ যেটা করা হয়েছিল সেটা মুক্ত করতে বলা হয়েছে। উনি টাকা ফেরত দিয়েছেন।”