CID investigation : ফের সিআইডি ! সুপার প্রিন্সিপালের সঙ্গে কথা বলে সোজা ঢুকলেন নার্সিং হোস্টেলে, সঙ্গে ক্যামেরা।
মেদিনীপুর: সোমবার ফের মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হয়ে গেল সিআইডির প্রতিনিধি দল। হাসপাতালের সুপার, প্রিন্সিপাল, সবার সঙ্গে কথা বলে জেরার পরে সোজা গিয়ে ঢুকে পড়লেন নার্সিং হোস্টেলে। সঙ্গে ক্যামেরা সহ মহিলা আধিকারিকও। বেশ কয়েক ঘন্টা জেলা চলল ফের সোমবারও মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। অন্যদিকে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের চিকিৎসকরাও হাজির হলেন মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে।কথা বললেন জুনিয়ার ডাক্তারদের সাথে ৷
জুনিয়র ডাক্তারদের ধরনা অবস্থান অব্যাহত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজে। প্রায় আটচল্লিশ ঘন্টা ধরে এই ধরনা অবস্থান চললেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো রকম বার্তা তাদের দেওয়া হয়নি। তাই জুনিয়র ডাক্তাররাও নিজেদের দাবিতে অনড়৷ তাদের দাবি -“আমাদের অন্যায় ভাবে দেওয়া সাসপেনশন অর্ডার প্রত্যাহার করতে হবে”। শনিবার রাত থেকে সেই ধরনা অবস্থান চলছে সোমবার রাত পর্যন্ত। এই পরিস্থিতিতে ধরনা অবস্থানে থাকা জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলার জন্য হাজির হয়ে গেলেন ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের ৮ সদস্য। সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দন ঘোষাল।
এদিন হাসপাতালে সুপার , প্রিন্সিপাল ও জুনিয়ার ডাক্তারদের সাথে কথা বলার পরে চন্দন ঘোষাল জানিয়েছেন -” সাসপেন্ড করার আগে শোকজ করতে হয়। সেটা করা হয়নি। রোগীর মৃত্যুর কারণ ময়না তদন্ত রিপোর্ট বলছে সেফটিসেমিয়া। তাহলে চিকিৎসকদের দোষী করা যায় না। বিষয়টা পুরোপুরি ঠিক হয়নি বলে আমাদের মনে হয়েছে।”
অন্যদিকে, বেলা বারোটার পর মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে হাজির হয়ে যায় সিআইডির সেই বিশাল এক টিম। হাসপাতালের নতুন সুপার এবং মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল সকলের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন তারা। এরপরে রওনা দেন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চত্বরে থাকা নার্সিং হোস্টেলের দিকে। কারণ এই চিকিৎসার গাফিলতিতে মৃত্যুর ঘটনায় বেশ কয়েকজন নার্স এরও এই চিকিৎসার সময়ে জড়িত থাকার উল্লেখ রয়েছে। ফলে নার্সিং হোস্টেলে নার্সদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৩ জন জুনিয়র ও সিনিয়র চিকিৎসককে সাসপেন্ড করার পরেও ঘটনার তদন্ত প্রক্রিয়া অব্যাহত সিআইডির পক্ষ থেকে। অন্যদিকে একের পর এক সংগঠন সাসপেন্ড হওয়া চিকিৎসকদের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছে।