CID : ৬ ঘন্টার টানা জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির, টানা জেরাতে নাজেহাল হাসপাতাল সুপার
Midnapore: রাজ্য সরকারের নির্দেশমতো মঙ্গলবার দুপুরেই মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে পৌঁছায় সিআইডির একটি দল। দুপুর একটা থেকে সন্ধ্যা ছ’টা পর্যন্ত টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালায় তারা। প্রসূতি মৃত্যুতে চিকিৎসা সংক্রান্ত নানা তথ্য সংগ্রহ করে। জিজ্ঞাসাবাদ করে, ওইদিন দায়িত্বে থাকা সিনিয়র চিকিৎসক, পিজিটি, নার্স ও হাসপাতাল সুপারকে। সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে চাননি হাসপাতাল সুপার।
গত বুধবার রাতে পাঁচ প্রসূতি সিজারের পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার মধ্যে একজন মারাও গিয়েছেন। বাকি তিনজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঁঞ্জা লড়ছেন কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে। আরেকজন সুস্থ রয়েছেন। ওই ঘটনায় ব্ল্যাকলিস্টে থাকা একটি কোম্পানির স্যালাইন ব্যবহার করার ফলেই এই ঘটনা বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে তোলপাড় পড়ে যায় সারা রাজ্যে। দফায় দফায় বিক্ষোভ অবরোধ। কাঠগড়ায় তুলেছে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে। উচ্চ আদালতে বিষয়টি নিয়ে মামলা হয়েছে। তবে রাজ্য সরকার ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সোমবার।
তদন্ত শুরু হয়ে গেল মঙ্গলবার থেকেই। এদিন দুপুর একটা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সুপারের অফিসে পৌঁছায় সিআইডির দলটি। ওইদিন দায়িত্বে থাকা সিনিয়র চিকিৎসক, পিজিটি, নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। এমনকি হাসপাতাল সুপার ডাঃ জয়ন্ত কুমার রাউতকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, সিআইডির দল পৃথক ভাবে সকলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন এবং তা নথিভুক্ত করেন। ওই দিন ব্যবহৃত সমস্ত স্যালাইন, ইনজেকশন, ওষুধের কাগজপত্র সংগ্রহ করেন। বেশ কয়েকজনকে ডাকা হলেও প্রয়োজনে আরও বাকিদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। ওইদিন কি ঘটেছিল, কারা ছিলেন দায়িত্বে তাও জানতে চেয়েছেন। স্যালাইনের জন্যই যে এমন ঘটনা তাও দাবি করছেন চিকিৎসকরা।

টানা ছ’ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর বেরিয়ে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনো মন্তব্য করতে চাননি সিআইডি। তবে হাসপাতাল সুপার জয়ন্ত কুমার রাউত বলেন, “বিষয়টি তদন্ত চলছে। যাদেরকে প্রয়োজন হবে জিজ্ঞাসাবাদ করবে। এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।”