CID investigation: মেদিনীপুর হাসপাতালের ঘটনায় তদন্তে সি আই ডি !
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের রোগী মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে কি এবার সিআইডি ? হাসপাতাল জুড়ে এমনই প্রস্তুতি শুরু হলো। মঙ্গলবারই সিআইডির টিম মেদিনীপুর হাসপাতালে আসছে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসা বিভ্রাটে মৃত মামনি রুইদাস এর সদ্যোজাত পুত্র সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ল। তাকে দ্রুত নিয়ে আসা হল মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মামনির স্বামী দেবাশীষ রুইদাস বলেন-“সিআইডি তদন্ত হলে অনেকটাই পরিষ্কার হয়ে যাব কি ঘটেছিল সেই রাতে। কারা দোষী। আমার সন্তানের মত আর কেউ মা হারা যাতে না হয়।”
গত শুক্রবার রাতে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা বিভ্রাটে অসুস্থ হয়ে মৃত্যু হয়েছিল প্রসূতি মামনি রুইদাস এর। তবে তার সদ্য জাত পুত্র সন্তান ঠিকঠাকই ছিল। অন্যদিকে একই সাথে অপারেশন হওয়া বাকি আরো তিনজনের অবস্থা খারাপ থাকায় তাদের গ্রিন করিডর করে রবিবার রাতেই পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কলকাতার এস এস কে এম এ। তারপরেও উদ্বেগ কমলো না প্রশাসনের। কারণ সোমবার বেলা বারোটা নাগাদ মারা যাওয়া মামনি রুইদাস সদ্যোজাত পুত্রসন্তান অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সে সহ আরো একটি সদ্যজাতর চিকিৎসার জন্য মেডিকেল বোর্ড তৈরি করে চিকিৎসা শুরু হয়েছে। মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল মৌসুমী নন্দী জানিয়েছেন-” ওইদিনের ঘটনার দুই প্রসূতির দুই সন্তান আপাতত আমাদের কাছে চিকিৎসাধীন। তাদের চিকিৎসায় একটি মেডিকেল বোর্ড তৈরি করা হয়েছে।”
অন্যদিকে এই ইস্যুতে সোমবার ও প্রতিবাদ বিক্ষোভে সামিল হয়েছিল এসইউসিআই। মেদিনীপুর শহরের কালেক্টরেট মোড় এলাকায় দীর্ঘক্ষণ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছিলেন তারা। তাদের দাবি এই কাণ্ডে জড়িতদের কড়া শাস্তি দিতে হবে।
অন্যদিকে হাসপাতালের এই রোগী মৃত্যুর পেছনে শুধু বাতিল হয়ে যাওয়া স্যালাইন ব্যবহারই কারণ ছিল নাকি চিকিৎসকদের আরো কোন বড় গাফিলতি রয়েছে তা দেখার জন্য কলকাতা থেকে সিআইডির একটি টিম হাজির হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এজন্য হাসপাতাল চত্বরে প্রস্তুতি রয়েছে। যদিও এই প্রসঙ্গে কোন পুলিশকর্তা কোন মন্তব্য করেনি। তবে মৃত মামনি রুইদাস এর স্বামী দেবাশীষ রুইদাস বলেন-” আমি শুনেছি এই কান্ডের সিআইডি তদন্ত করবে। সেটা হলে আরো ভালো হয়। কারা এর সঙ্গে জড়িত সেটা বোঝা যাবে। সেই সাথে আমি চাইবো আমার সন্তানের মত আর কোন লোকের সন্তান যেন মা হারা না হয়।”