Midnapore Hospital : স্যালাইন বিভ্রান্তির জের, বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে মেদিনীপুর হাসপাতালে দিচ্ছেন রোগীর পরিবারের লোকেরা
মেদিনীপুর: গত বুধবার মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে পাঁচ প্রসূতির অপারেশন শেষ করে স্যালাইন দেওয়ার পর সংকটপূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। মৃত্যু হয়েছে এক প্রসুতির। সংকটপূর্ণ বাকী আরও চারজন। এই ঘটনায় মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়া হয়েছে এবং তার জেরে গন্ডগোল- এমন অভিযোগ উঠেছে। তারপরেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হাসপাতালের সরবরাহ সেই স্যালাইন বন্ধ রেখেছে। তাই প্রতিটি রোগীকে বাইরে থেকে নিজ খরচে স্যালাইন কিনে আনার অনুরোধ করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। সমস্ত পরিস্থিতি পরিদর্শনে রবিবার বিকেলে সেখানে হাজির হোন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া। মুখ্যমন্ত্রী সবটাই দেখছেন বলে তিনি জানিয়েছেন এদিন।
গত বুধবার থেকে চিকিৎসা বিভ্রাটের জেরে এক প্রসুতির মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে উত্তেজনা অব্যাহত মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। হাসপাতালে রোগীর পরিবারের তুলনায় রাজনৈতিক দলগুলি নিজেরা ইস্যু তৈরি করে তা নিয়ে প্রতিদিনই আন্দোলন বিক্ষোভ করে চলেছে। শনিবার রবিবার দুদিনই উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি কেটেছে। অন্যদিকে মেদিনীপুর হাসপাতালে একজন প্রসুতির মৃত্যুর পর থাকা বাকি চারজন যথেষ্ট খারাপ অবস্থাতেই সিসিইউতে ভর্তি। কিন্তু থেমে থাকেনি চিকিৎসা পরিষেবা। তাই হাসপাতালের পক্ষ থেকে বিতর্কিত স্যালাইন বন্ধ রেখে বাইরে থেকে অন্য স্যালাইন কিনে আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে। রবিবার দিনভর রোগীরা নিজেদের খরচে বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে এনে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য দিয়েছেন।
হাসপাতলে স্যালাইন কিনে ঢোকার সময় ঝাড়গ্রাম থেকে আগত দিবাকর মুড়িয়ান নামে এক রোগীর পরিবারের লোক বলেন-” আমার নাতনির বুকে কফ জমে সমস্যা হয়েছে। স্যালাইনের প্রয়োজন ছিল। সেখানে ডাক্তাররা জানিয়েছেন হাসপাতালে সরবরাহ করা স্যালাইন দিতে পারি, তাতে আপনাদের মুচলেকা লিখে দিতে হবে সমস্যা হলে আমাদের কোনভাবে দায়ী করা হবে না। না হলে বাইরে থেকে কিনে আনতে পারেন। তাই আমরা বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে এনে ডাক্তারদের দিচ্ছি।”একইভাবে মাতৃমা-বিল্ডিং এতে আরও অন্যান্য রোগীদের ক্ষেত্রেও বাইরে থেকে স্যালাইন কিনে দিতে হচ্ছে।
রবিবার বেলার আড়াইটা নাগাদ মেদিনীপুর হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে ভর্তি থাকা সেই সমস্ত রোগীদের দেখতে এসেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া। সকলকে দেখে ডাক্তারদের সঙ্গে কথা বলেন। তিনি বলেন-” পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে কারো গাফিলতি প্রমাণ হলে। পুরো বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী নিজে দেখছেন। তবে আপাতত রোগীদের বাইরে থেকে স্যালাইন এনে দিতে হচ্ছে। সবটাই স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা হচ্ছে। তবে আমি এখানে যা দেখেছি সবটাই আবার মুখ্যমন্ত্রীকে বলবো।”