Medinipur Hospital : একজনের মৃত্যুর পর আশঙ্কাজনক আরও,তদন্তে তিনঘন্টা বৈঠকে রাজ্য স্বাস্থ্য কর্তারা,দেখলেন রোগীর অবস্থা

মেদিনীপুরঃ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভুল চিকিত্সায় রোগিনীর মৃত্যুর ঘটনার পর আরও একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ৷ এইচডিইউ তে রয়েছেন আরও ৩ জন ৷ সকলকের পরিবার চিন্তায় ডুবে ৷ যেকোনো সময়ে রোগির খারাপ খবর আসতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন হাসপাতাল চত্বরে ৷ কেঁদে চলেছেন পরিবারের লোকেরা ৷ কারন রোগীরা সামান্য সাড়া দিলেও তাদের প্রস্রাব বন্ধ ৷ এদিকে এইঘটনায় তদন্তে মেদিনীপুর হাসপাতালে হাজির হলেন রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বিভিন্ন কর্তারা ৷ বেলা এগারোটা নাগাদ মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রবেশ করে হাসপাতালের সুপার থেকে প্রিন্সিপাল, চিকিত্সক, নার্স,মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক সকলকে নিয়ে বৈঠক করেন তাঁরা৷ তাদের বৈঠকের মুহুর্তে বৈঠক স্থালের বাইরে মেডিক্যাল কলেজের সামনে দীর্ঘ বিক্ষোভ উত্তেজনা বাম কংগ্রেস দলগুলির ৷ পুলিশের সাথে ধ্বস্তাধ্বস্তি পর্যন্ত হল দীর্ঘক্ষন ৷  তবে বৈঠক শেষে সংবাদ মাধ্যমের সামনে কোনো কথা খোলাসা করেন নি আধিকারিকেরা ৷



উল্লেখ করা যায়, গত বুধবার রাতে মেদিনীপুর হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগে বেশ কিছু মহিলার সিজার করে সন্তান হয় ৷ তার পরে তাদের বেডে দেওয়া স্যালাইন ও ওষুধ দেওয়া হয়েছে ৷ সেগুলি দেওয়া পরেই ৫ মহিলার শারিরীক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে ৷ প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাওয়া থেকে শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য অসুবিধা শুরু হয়ে যায় ৷ রোগীদের পরিবারের লোকেরা বারবার নার্সদের কাছে জানতে চাইলে তারা অপারেশন কিংবা ওষুধে সমস্যা থাকতে পারে বলে জানিয়ে দেন ৷ রোগীদের অবস্থা ক্রমেই খারাপ হতে থাকলে চারজনকে সিসিইউতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ৷ সেখানে শুক্রবার ভোরে একজনের মৃত্যু হয় ৷ মামনি রুই দাস নামে ওই মহিলার পুত্র সন্তান হয়েছিল ৷ বাকিদের অবস্থা জটিলই ৷ হাসপাতাল কতৃপক্ষ বুঝতে পারে রোগীদের ক্ষেত্রে বড়ো ভুল কিছু হয়েছে ৷ অন্যদিকে রোগীর চিকিত্সায় গাফলতিতে মৃত্যুর অভিযোগে উত্তেজনা বাড়তে থাকলে হাসপাতাল চত্বরে পুলিশ ফোর্স দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয় ৷ ভর্তি থাকা বাকি রোগীদের নিয়ে উত্কন্ঠা বাড়তে থাকে ৷


শনিবার বেলা এগারোটা নাগাদ রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বড়ো একটি টিম হাজির হয়ে যায় ঘটনার তদন্তে ৷ হাসপাতালের সিনিয়ার চিকিত্সক , প্রিন্সিপাল মৌসুমি নন্দী, সুপার জয়ন্ত রাউত, মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্য শঙ্কর সারেঙ্গীকে নিয়ে বৈঠক শুরু হয়৷ বেলা সাড়ে এগারোটা থেকে বেলা ২ টো পর্যন্ত বৈঠক চলে ৷ পরে সেখান থেকে স্বাস্থ্য কর্তারা সিসিইউতে থাকা রোগীদের দেখতে ঢোকেন ৷ দেখার পরে পুরোটা খোলাসা করেননি সংবাদ মাধ্যমের সামনে ৷




তদন্তে হাজির ডাঃ আশীষ বিশ্বাস বলেন- “এখনই কিছু বলা যাচ্ছেনা । স্যালাইন সহ যে সমস্ত ওষুধ ব্যাবহার করা হয়েছিল সেগুলি নতুনা নেওয়া হয়েছে । তদন্ত চলছে । পুরো পরিস্থিতি নজরে রয়েছে । আরও অনেকখানি দেখতে হবে” ।

অন্যদিকে তদন্তে হাজির এসএসকেএম- এর হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডাঃ সরোজ মন্ডল বলেন- “এখানকার চিকিতসকেরা দক্ষতার সাথে পুরো বিষয়টা থেকে উদ্ধার করার চেষ্ট করছেন ৷  পুরো টিম কাজ করছে ৷ রোগীও চিকিত্সায় সাড়া দিচ্ছে ৷এর বেশি এখনই বলা যাবেনা” ।

আরও এক চিকিত্সক সিসিইউ দেখে জানান- “একজন কঠিন পরিস্থিতির মধ্যেই রয়েছে । সকলের দিকে নজর রাখা হচ্ছে”।  

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page