Mohonpur bridge : “সব লরি মোহনপুর ব্রীজে না যেতে দিলে,কোনো গাড়িকেই যেতে দেবোনা”, দাবি করে জাতীয়সড়ক অবরোধে দীর্ঘ যানজট মোহনপুর ব্রীজে
Medinipur : অনির্দিষ্টকালের জন্য মোহনপুর ব্রিজ ও শহর অচল করে দেওয়ার হুমকি ট্রাক অপারেটরদের৷ সমস্ত ভারি ট্রাক ব্রীজের ওপর দিয়ে চালাতে দিতে হবে দাবি করে- দীর্ঘ যানজট তৈরি করল মোহনপুর ব্রিজের উপর তারা বুধবার দুপুরে। তবে কোনোভাবে বুঝিয়ে সামাল দিল পুলিশ। তবে তা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে।অবরোধ তুললেও তাঁরা জানিয়ে দিলেন –এবার মেদিনীপুর শহর ও মোহনপুর ব্রীজ পাকাপাকিভাবে বন্ধ করে দেবেন৷
মোহনপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে সমস্ত ভারী ট্রাক চলাচলের অনুমতি দিতে হবে। ২০২২ থেকে নাকি ভারী ট্রাক চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তার জেরে মোটা টাকা খরচ করে ঘুর পথে যাতায়াত করতে হচ্ছে বড় লরিগুলিকে। এর জেরে ব্যবসায় বড় আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে এমন দাবি করে এবার ক্ষুব্ধ ট্রাক অপারেটর ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিল মোহনপুর ব্রিজের উপরে শুয়ে। বুধবার বেলা বারোটার পর ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপরে থাকা এই ব্রিজে এই ধরনের পরিস্থিতি তৈরি করায় বিশাল যানজট পূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। এদিন তারা হুমকি দিলেন-“অনেকবার জানানোর পরেও তাদের ট্রাক চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়নি। এবারে না অনুমতি দিলে মোহনপুর ব্রিজের ওপর সমস্ত ভারী লরি রেখে পাকাপাকিভাবে অবরুদ্ধ করে দেবেন মোহনপুর ব্রিজ। মেদিনীপুর শহরেও যত্রতত্র লরি দাঁড় করিয়েও অবরুদ্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি ও দিলেন তাঁরা।”
উল্লেখ করা যায়, ৬০ নম্বর জাতীয় সড়কের ওপর খড়গপুর ও মেদিনীপুরের মাঝে কংসাবতী নদীর উপরে এই মোহনপুর ব্রিজ রয়েছে। দীর্ঘ পুরনো এই ব্রিজ এর বড় মেরামতি না হওয়ার কারণে দুর্বল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ পর্যবেক্ষণের পর জেলা প্রশাসনকে সতর্ক করেছিল এই ব্রিজের বিষয়ে। বিশেষ করে ২০২২ সালের সময় বেশ কিছু ব্রিজ দুর্ঘটনার কথা মাথায় রেখে প্রশাসনকে তৎপর হতে হয়। ২০২২ সাল থেকে তাই ভারী লরি চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছিল এই মোহনপুর ব্রিজের ওপর দিয়ে।
গত এক বছর আগে এই ব্রিজের বহু সংস্কার সাধনের পর অপেক্ষাকৃত কম ভারি লরি চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ২৫ টন বা এই ধরনের বড় লরি গুলির ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা অব্যাহত আছে। এজন্য কড়া নজরদারিও চলে পুলিশের পক্ষ থেকে। এর জেরে জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করা ভারী পণ্যবাহী লরি গুলি ঘাটাল পথে বা অন্যান্য পথ ঘুরে দূরে যাতায়াত করে। এতে মোটা টাকা খরচ হয় লরিচালক ও মালিকদের। সেই সাথে সময় সাপেক্ষ। প্রশাসনকে বারবার তারা জানিয়েছিলেন ভারী লরি চলাচলের অনুমতি দেওয়ার জন্য।

কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় ব্রিজের পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রশাসন তার অনুমতি দেয়নি। তাই ২০২২ থেকে এই ধরনের চলার পর ভারী লরির চালকেরা বুধবার দুপুরের পর অবরুদ্ধ করে দিল মোহনপুর ব্রিজ। ব্রিজের মুখের সামনে রাস্তার ওপর শুয়ে ট্রাক অপারেটররা এই অবরোধ শুরু করেন।দীর্ঘ যানজটে লম্বা লাইন দেখা যায় খড়গপুর গ্রামীণের একটা অংশ থেকে জাতীয় সড়কের উপর উল্টো দিকে থাকা ধর্মা পর্যন্ত। অনেক চেষ্টা করে পুলিশ তাদের বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়েছে পরে। তাহলেও ওই লরির মালিক ও চালকেরা পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন-“অবিলম্বে অনুমতি না মিললে পাকাপাকিভাবে মোহনপুর ব্রিজের উপর লরি দাঁড় করিয়ে সমস্ত বন্ধ করে দেবেন তারা। সেই সাথে সংলগ্ন শহরগুলির ভেতরেও লরি ঢুকিয়ে যানজট তৈরি করবেন।”