Elephant attack :ঘুম থেকে উঠেই হাতির মুখোমুখি, কেশপুরে মৃত্যু হল একজনের, অপরজন আশঙ্কাজনক
Anandapur : মঙ্গলবার সাত সকালেই অন্যান্য দিনের মতো ঘুম থেকে উঠে চাষের জমির দিকে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন কৃষক। আধো ঘুম চোখে তার সামনে মৃত্যু অপেক্ষা করছে তিনি বুঝতে পারেননি। বাড়ি থেকে বেরিয়ে একটু এগোতেই হঠাৎ দেখেন কালো রঙের দাঁড়িয়ে বিশাল একটা হাতি। কোন কিছু বুঝে দৌড়ানোর আগেই হাতি ছুটে এসে তাকে আক্রমণ করে বসে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হল তার। একইভাবে ঘুম থেকে উঠে গোয়াল থেকে গরু বের করছিলেন এক মহিলা। হামলা তাকেও। মৃত ব্যক্তির নাম নিমাই ভূঁইয়া (৬৫), আহত ওই গ্রামেরই অপর এক মহিলা মায়া পড়িয়া(৪৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সাত সকালে পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুর ব্লকের তথা আনন্দপুর থানার অন্তর্গত শলিডিহা গ্রামে। ওই গ্রাম আড়াবাড়ির জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায়। তাহলেও অনেকটাই দূরত্ব রয়েছে। বেশ কয়েকদিন ধরে বাড়াবাড়ির জঙ্গলে অনেকগুলি হাতি বসবাস করছিল। তাদেরই একটি হাতি দল বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল গত একদিন আগে। সেই হাতির তাণ্ডবেই মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হল একজনের, আশংকা জনক আরও এক। ঘটনায় তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে গেল এর পরেই।
বনদপ্তর সূত্রে খবর, কয়েকদিন ধরেই বড় একটি হাতির দল গড়বেতার জঙ্গলে প্রবেশ করেছিল। গড়বেতা ও আড়াবাড়ি জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় ঘোরাফেরা করার পর হাতিগুলি বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। তার মধ্যেই আড়াবাড়ি এলাকার দল বিচ্ছিন্ন একটি হাতি প্রবেশ করে আনন্দপুর থানার অন্তর্গত এলাকায়। মঙ্গলবার সকালে আনন্দপুরের সলিডিহা গ্রামের কাছে চলে আসে হাতিটি। বিষয়টি গ্রামের লোকেরা ঘুনাক্ষরেও জানতেন না। ওই সময় ঘুম থেকে উঠে রোজকার মত চাষের জমির দিকে যাচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই ভুঁইয়া। হঠাৎ সামনে দেখেন গাছের আড়াল থেকে বের হচ্ছে একটি বড় হাতি। তিনি একেবারে সামনা সামনি পড়ে গিয়েছিলেন। কি করবেন বুঝে ওঠার আগেই হাতি তাকে ধরে তুলে আছড়ে দেয়। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই ব্যক্তির।
হাতি এরপর সেই স্থান থেকে বেরিয়ে যায়। গ্রামের সমস্ত লোকজন হাতির উপস্থিতির বিষয়ে জানার আগে ফের আরও একটি হামলা করে বসে। গ্রামের অপরপ্রান্তে মায়া পড়িয়া নামে এক মহিলা ঘুম থেকে উঠে বাড়ির গোয়াল থেকে গরু বের করতে যাচ্ছিলেন। বাড়ি থেকে বেরোতেই দেখেন তার সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে বিশাল হাতি। হাতি দেখেই তাকে আক্রমণ করে । তবে তার চেঁচামেচিতে অন্যান্যরা এসে যেতেই হাতি পালিয়ে যায় হাতি। তবে ততক্ষণে গুরুতর আহত হয়ে যান ওই মহিলা। মহিলার স্বামী বাদল পড়িয়া বলেন-” এলাকায় কখনো এভাবে হাতি ঢোকেনি। অতর্কিতভাবে হাতির সামনে পড়ে গিয়েছিল। হাতিটি মেরে ফেলার চেষ্টা করছিল। তবে গুরুতর আহত হয়েছে। আমার স্ত্রী একজন আশা কর্মী। আপাতত তাঁকে মেদিনীপুর হাসপাতালে ভর্তি করেছি ৷”
#Elephant attack, #elephant, #Keshpur, #Garbeta,