Toto ban: বেহিসাবি টোটো বন্ধ করতে নির্দেশ এল ! বাঁচতে মেদিনীপুরে টুকরো টুকরো হল টোটো ইউনিয়ন
মেদিনীপুর: অবশেষে অবৈধ বেহিসেবী টোটো বন্ধ করে মেদিনীপুর শহরকে যানজট মুক্ত করার নির্দেশ এলো রাজ্য থেকে। নির্দেশ পেয়েই প্রাথমিক কাজ শুরু করতেই টোটো চালকেরা মজবুত ছাতার তলা খোঁজা শুরু করে দিল । পৌরসভার পক্ষ থেকে টোটোর হিসেব করে পরিবহন দপ্তরে তথ্য জমা দেওয়ার কাজ শুরু করতেই, তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পৃথক পৃথক গোষ্ঠীও শুরু করল নাম্বার যুক্ত ও বিনা নাম্বারের টোটোদেরও তালিকা তৈরি করা। তারাও জানালো-পৃথকভাবে তালিকা তারাও জমা দেবেন পরিবহন দপ্তরে। ফলে অদ্ভুত জটিলতা তৈরি হতে চলেছে পদক্ষেপ নেওয়ার আগেই। বৈধ অবৈধ সকল টোটোই চাইছে মেদিনীপুর শহরের রাস্তায় টিকে থাকতে ৷ তাই লাইন দিয়েছে শাসকদলের বিভিন্ন সংগঠনের অফিসে ৷
সম্প্রতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাশাসকের কাছে রাজ্য সরকারের পরিবহন দপ্তর থেকে সেই নির্দেশ পৌঁছে গিয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে অবৈধ টোটোর ভিড় কমাতে হবে। মেদিনীপুর শহরে যে সমস্ত কারণগুলিতে শাসকদলের ভোটে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে, তার মধ্যে অন্যতম কারণ হল অবৈধ টোটোর দ্বারা যানজট। তাই উপনির্বাচন শেষ হওয়ার পরেই রাজ্য থেকে নির্দেশ কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার।সরকারি নির্দেশ পেয়েই সেই টোটোকে আলাদা করার জন্য মেদিনীপুর পৌরসভা হিসেব করা শুরু করেছে। পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান জানিয়েছেন-” জেলাশাসকের দপ্তর থেকে নির্দেশ আসার পরেই পৌরসভাতে বৈঠক করেছি আমরা। যেখানে পরিবহন দপ্তরের আধিকারিক জেলা প্রশাসনের আধিকারিক পৌরসভার কাউন্সিলর ও আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন।প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে বৈঠকের সিদ্ধান্ত বিষয়ে। প্রত্যেকটি কাউন্সিলর তার এলাকায় থাকা টোটোর সংখ্যা হিসেবে করবেন, টোটোর প্রকৃত মালিক যিনি, তিনিই চালক হতে হবে, টোটো কেনার কাগজপত্র, টোটো পিছু একজন বৈধ মালিক হলে তাঁকেই চালক হতে হবে। এমন সমস্ত খতিয়ে দেখে কোন ওয়ার্ডে কতগুলি টোটো রয়েছে তার তালিকা তৈরি হচ্ছে। সেই তালিকা আমরা পরিবহন দপ্তরে জমা দেব। সেখানেই প্রশাসনিক আধিকারিকরা সিদ্ধান্ত নেবেন কোন টোটো চলবে এবং কতগুলি বাদ যাবে।” নির্দেশ মতো মেদিনীপুর পৌর এলাকার বিভিন্ন ওয়ার্ডে সেই তালিকা খতিয়ে তৈরি করার কাজ শুরু করে দিয়েছেন কাউন্সিলাররা।
প্রশাসনিক এই তৎপরতা শুরু হয়েছে দেখতে পেয়েই মেদিনীপুর শহরে অগণিত টোটো নিজেদের সম্ভাব্য বিপদ বুঝতে পেরে গিয়েছে। দ্রুত যে যেদিকে পেরেছে শাসকদলের মজবুত নেতার সান্নিধ্য পাওয়ার চেষ্টা করেছেন। তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের পক্ষ থেকে একটি দল মেদিনীপুর শহরের এলআইসি মোড়ে নিজেদের কার্যালয় থেকে টোটোর পৃথক তালিকা তৈরি শুরু করেছেন। আইএনটিটিইউসি সমর্থিত তৃণমূলের ওই টোটো ইউনিয়ন এর পক্ষ থেকে শহর ইউনিটের সম্পাদক শেখ সাজু বলেন-“শহরে কতগুলি টোটো বৈধ সেটা আমরা টোটো চালকেরাই জানি। পৌরসভার আধিকারিকেরা কখনোই সেটা সঠিক জানতে পারে না। তাই আমরা শহরে যারা বৈধ টোটো রয়েছে তাদের কাগজপত্র সংগ্রহ করছি। তালিকা করে পরিবহন দপ্তরে জমা করব। আমাদের তালিকা যাতে বৈধতা পায় তার ব্যবস্থা করব।” সেই মর্মে মেদিনীপুর শহরে মাইকিং করে প্রচার শুরু করেছেন তারা।
অন্যদিকে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের সমর্থিত আরেকটি দল শহরের স্টেডিয়াম রোড সংলগ্ন এলাকায় অফিসে নিজেদের কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারাও একই সংগঠনের আওতায় দাবি করে “বিনা নম্বরের টোটো শ্রমিক বন্ধু” ব্যানারে নাম্বারহীন টোটো চালকদের কাগজপত্র সংগ্রহ শুরু করেছেন। তাদের দাবি-তারাই সবথেকে পুরনো, অবিলম্বে সেই পুরনো হওয়ার অধিকার থেকে অনুমতি দিতে হবে তাদেরও। তাই পৃথকভাবে তালিকা তারা তৈরি করে জমা দেবেন পরিবহন দপ্তরের অফিসে। তার কাজ রবিবার দিনভর করতে দেখা গিয়েছে, স্টেডিয়াম রোড সংলগ্ন এলাকার ওই সংগঠনের অফিস থেকে। ফলে তীব্র সংকট পূর্ণ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে শাসক দলের কাছে।

শাসকদলের ছত্রছায়ায় কোনভাবে ঢুকে নিজেকে বৈধ করার প্রতিযোগিতা শুরু করে দিয়েছে টোটো চালকেরা। তাই ছোট ছোট ছাতার তলায় বহু টোটো চালকেরা গিয়ে নিজেদের নাম লেখাচ্ছেন বৈধ হওয়ার আবেদন জানাতে। যদি পৌরসভার পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে-প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে তালিকা যাবে পৌরসভা থেকেই।সেই কাজ শুরু হয়েছে৷ অন্যান্য ওয়ার্ডের সঙ্গে পৌরসভার দু নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিতালী ব্যানার্জি জানান-” পৌরসভার নির্দেশক্রমে আমরা আমার ওয়ার্ডে কতগুলি টোটো রয়েছে তাদের বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহ শুরু করেছি। পৌরসভার দেওয়া ফরম পূরণ করে তাদের নাম জমা দেওয়া হবে পৌরসভা তে। বৈধ মালিক ও চালক হলে তবেই বৈধতা পাবে।”
#toto, #INTTUC , #Medinipur toto, #toto agitation, #TMC,#Medinipurlive,