Bangladesh: আন্তর্জাতিক উরুষ উৎসবে এবার বাংলাদেশের পুন্যার্থীদের ট্রেনে নিষেধাজ্ঞা, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠালো বিজেপি
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর শহরের মির্জা বাজার এলাকায় প্রতিবছর ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুতে আন্তর্জাতিক উরুষ উৎসবের আয়োজন হয়। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশ থেকেও পূন্যার্থীরা হাজির হয়ে থাকেন। ১৯০২ সাল থেকে, ভারত বাংলাদেশের এক মৈত্রী চুক্তির পর সেখানকার পুন্যার্থী বোঝায় একটি বিশেষ বাংলাদেশের ট্রেনকে অনুমতি দেওয়া হয় ভারতবর্ষের মেদিনীপুর পর্যন্ত আসার জন্য। ভারতবর্ষে প্রবেশ করলেই- ভারতীয় প্রশাসন স্বাগত জানিয়ে মেদিনীপুর স্টেশনে নিয়ে আসে প্রতিবছরই। শতাধিক বছরের এই পুরনো রেওয়াজ এবার ভাঙতে চলেছে। বাংলাদেশীদের এবার যাতে সেই প্রবেশের ক্ষেত্রে অনুমতি না দেওয়া হয় তার জন্য কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকে চিঠি পাঠালো পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা বিজেপি। মন্ত্রী অমিত শাহ এর কাছে সেই চিঠি পাঠানো হয়েছে মেদিনীপুর শহর থেকে।
জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় বলেন,-” এতদিন আমরা তাদের স্বাগত জানাতাম। কেন্দ্রের সরকার অনুমতি দিয়ে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে মেদিনীপুর শহরে তাদের পৌঁছে দেওয়া হতো। এরপর মেদিনীপুর শহরের অনুষ্ঠানে তারা অংশ নিয়ে নিরাপত্তার সাথে ফিরে যেত। ভারতবর্ষে প্রবেশের সময় এবং মেদিনীপুরে নামার সময় তাদের গোলাপ দিয়ে সংবর্ধনা দেওয়া হতো ভারতের পক্ষ থেকে। কিন্তু তারা ভারতবর্ষের বিরুদ্ধে এখন বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে, আমাদের জাতীয় পতাকার অবমাননা করছে। তাই তাদের আমরা আর প্রবেশ করতেই দেব না। পুন্যার্থীদের সেই বিশেষ ট্রেন যাতে ভারতবর্ষে প্রবেশই না করতে পারে তার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছি আমরা।”

একইভাবে মির্জা বাজারের স্থানীয়দের পক্ষ থেকে আব্দুল ওয়াহেদ বলেন-” এতদিন আমরা তাদের স্বাগত জানাতাম। সম্মান দিয়ে আদর করে আমাদের উরুষ উৎসবে শামিল করাতাম। কিন্তু এবার আর তাদেরকে সেই সম্মান দিতে পারব না আমরা। যারা আমাদের দেশের জাতীয় পতাকাকে অবমাননা করে, তাদের আর আত্মীয় মনে করতে পারব না। তাদের ট্রেন প্রবেশ করবে কি করবে না সেটা কেন্দ্রীয় সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। আমরা সর্বতোভাবে আমাদের দেশের সরকারের সঙ্গে আছি। কিন্তু সেই বাংলাদেশিদের আর উৎসব কমিটির পক্ষ থেকে অভ্যর্থনা জানাবো না আমরা।”
ইংরেজদের শাসনের সময় থেকেই ভারত ও বাংলাদেশের এই যৌথ মৈত্রী চুক্তির পর এই আন্তর্জাতিক উৎসবে শামিল হওয়ার রেওয়াজ ছিল। বাংলাদেশের সরকারের একটি বিশেষ কমিটি ছিল। যার নাম আঞ্জুমান ই কাদেরিয়া। সরকারের তত্ত্বাবধানে এই কমিটি সেখানকার পুন্যার্থীদের একটি বাংলাদেশের ট্রেনে করে ভারতবর্ষে নিয়ে আসতো। কিন্তু এই প্রথম এক অদ্ভুত জটিল পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। দুই দেশের মধ্যে হিংসা বিদ্বেষ এতটাই তৈরি হয়েছে যে পুরনো মৈত্রী চুক্তি কোনভাবেই আর হয়তো রক্ষা সম্ভব হবে না। তাই শতাধিক বছরের পুরনো আন্তর্জাতিক উরুশ উৎসব হয়তো বাংলাদেশীদের ছাড়াই হবে।
#Bangladesh, #Bangladesh special train, #Urs festival, #Midnapore Urs Festival, #Medinipurtown,#Bangladesh latest update,