Medinipur : ১০০ বছর আগে ইংরেজ আমলে তৈরী হয়েছিল,সেই জল ট্যাঙ্ক নিয়ে বড়ো উদ্যোগ
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর তখনও শহর হিসেবে খুব একটা আত্মপ্রকাশ করেনি। ইংরেজ আমলে মেদিনীপুরের বাসিন্দাদের জল তৃষ্ণা মেটানোর জন্য বিশাল একটা জল ট্যাঙ্ক তথা রিজার্ভার তৈরি হয়েছিল স্টেশন রোড এলাকাতে ১৯২৪ সালে। যার নির্মাতা ছিলেন রাজা নরেন্দ্রলাল খান ওয়াটার ওয়ার্কস নামের সংস্থা।তখন চেয়ারম্যান ছিলেন বাবু উপেন্দ্রনাথ মাইতি৷ ঐতিহ্যবাহী সেই পুরনো জল ট্যাঙ্ক আজও একই রকম দাঁড়িয়ে রয়েছে তার মজবুত নির্মাণের সাক্ষ্য বহন করে।
বর্তমানে মেদিনীপুর শহর জুড়ে পানীয় জল সরবরাহ করে চলে আজও একইভাবে। মেদিনীপুর শহরের ল্যান্ডমার্ক সেই পুরাতন জল ট্যাংকের শতবর্ষ উদযাপন হবে চলতি ডিসেম্বরেই। কারণ ১৯২৪ থেকে ২০২৪ একশ বছর পূরণ হয়ে যাচ্ছে। তাই তাকে সুন্দর করে সাজিয়ে তার অবদান মানুষের কাছে তুলে ধরার চেষ্টা হবে মেদিনীপুর পৌরসভার পক্ষ থেকে।
সেই লক্ষ্যেই, মঙ্গলবার সকাল থেকে প্রস্তুতি পরিদর্শন হলো পৌরসভার আধিকারিকদের। মেদিনীপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান সৌমেন খান, পৌরসভার জল দপ্তরের সিআইসি মিতালী ব্যানার্জি সহ আধিকারিকরা উপস্থিত হয়েছিলেন। ভেতরে ঢুকে জল ট্যাংকের ভেতর পর্যন্ত পরীক্ষা করেন তারা। দেখেন ১০০ বছর আগে নির্মাণ হওয়া জল ট্যাংক আজও অক্ষত এবং মজবুত হয়ে তার সার্ভিস দিয়ে চলেছে। যেখানে কয়েক বছর আগে নির্মাণ হওয়া মেদিনীপুর পৌর এলাকার ৬ টি জল ট্যাংক ইতিমধ্যেই ফাটল ধরে বিপদসংকুল হয়ে গিয়েছে। তবে সুপ্রাচীন এই জল ট্যাংকের ভেতরে প্রবেশ করে পুরনো ঐতিহ্য পরিদর্শনকালে রেগে অগ্নি শর্মা হয়ে গেলেন পৌরসভার চেয়ারম্যান ও আধিকারিকরা। কারণটা কি?
ভেতরে ঢুকেই দেখা যায় গ্রিলের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রাখা চত্বরের ভেতরে বাইরে বসা অবৈধ চা দোকানগুলি তাদের কাপ ও ভাঁড় ফেলেছে জল ট্যাংকের চত্বরে। মাটির ও কাগজের কাপে পুরো ভরে গিয়েছে এলাকা। এতেই রেগে অগ্নি শর্মা হয়ে যান পৌরপ্রধান সৌমেন খান। নিজে আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরে প্রত্যেকটি চা দোকানকে জানিয়ে দেন, অবিলম্বে তা পরিষ্কার তারা না করলে সমস্ত দোকান এখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে। ক্ষোভ উগরে দেন পৌর প্রধান। সেই সঙ্গে পৌর কর্মীদেরও প্রয়োজনীয় নির্দেশ দিয়ে দেন।

তবে যাই হোক, ঐতিহ্যবাহী শত বর্ষের পুরনো এই জল ট্যাংকটি নিয়ে পৌরসভা বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। পৌর প্রধান সৌমেন খান জানিয়েছেন-মেদিনীপুরের একটা ল্যান্ডমার্ক হল এই পুরনো জল ট্যাঙ্ক। ১০০ বছর ধরে মেদিনীপুর শহরের মানুষকে পানীয় তৃষ্ণা মিটিয়ে এসেছে। আজও সমান ভাবে কাজ করে চলেছে এই রিজার্ভার। আমরা এটাকে আরো সংস্কার করে রঙিন করে এই জল ট্যাংকের শতবর্ষ উদযাপন করব। এই ডিসেম্বরের মধ্যেই তা হবে।