Primary School: ডিসেম্বরেই প্রাথমিকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পশ্চিম মেদিনীপুরে, জানালেন চেয়ারম্যান।
মেদিনীপুর: পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের তোড়জোড় শুরু। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ডিসেম্বরের মধ্যেই সেই প্রধান শিক্ষক নিয়োগ সম্পন্ন হবে বলে সোমবার বিকেলে জানালেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অনিমেষ দে। তিনি জানান-সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে সরকারি প্রায় ৩ হাজার ৮০০ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। যেগুলিতে অনেক জায়গাতেই প্রধান শিক্ষক নেই। কোথাও ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক, কোথাও বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকারা একে অপরের পালা করে দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। প্রধান শিক্ষক না থাকায় শিক্ষাক্ষেত্রে বেশ কিছু জটিলতাও তৈরি হয়েছে। শিক্ষা পরিচালনার ক্ষেত্রে মসৃণ পরিবেশ তৈরি হয়নি বলেই দাবি অনেকের। অনেকেই মনে করছেন ২০১০ সালে সম্ভবত শেষবার প্রধান শিক্ষক নিয়োগ হয়েছিল। প্রধান শিক্ষকের প্যানেল তারপর থেকে আর হয়নি বিভিন্ন জটিলতার কারণে।
শিক্ষা ক্ষেত্রে নিয়োগ দুর্নীতি সহ বিভিন্ন ইস্যুতে ২০১৬ এর পর থেকেই ডামাডোল পরিস্থিতি ছিল। সেই ঢেউয়ে অস্থির পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও রয়েছে। বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে চেয়ারম্যান পদেরও বেশ কয়েকবার রদবদল হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদে। ফলে প্রধান শিক্ষকের প্যানেল তৈরির মতো গুরুত্বপূর্ণ অনেক কাজই অসম্পূর্ণ রয়ে গিয়েছে এই পরিস্থিতির কারণে। অবশেষে তা নিয়ে নড়াচড়া শুরু হয়েছিল কয়েকমাস ধরে। সেটা শেষ পর্যায়ে বলে সোমবার বিকেলে জানালেন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অনিমেষ দে।
সোমবার বিকেলে পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুরে প্রাথমিক শিক্ষক শিক্ষিকাদের পক্ষ থেকে নবনিযুক্ত প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান অনিমেষ দে কে সংবর্ধনার আয়োজন হয়েছিল। যেখানে শাসক দলের বিভিন্ন নেতৃত্বরা উপস্থিত ছিলেন। ছিলেন কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি চিত্ত গরাই-ও। ছিলেন শাসকদলের শিক্ষক সংগঠনের নেতারাও৷ সেই সংবর্ধনা সভার শেষে অনিমেষ দে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানালেন বিস্তারিত।
শুনুন কি জানিয়েছেন চেয়ারম্যান—

তিনি বলেন-” সংবর্ধনা সভায় শিক্ষক-শিক্ষিকারা তাদের পেশাগত সমস্যার বিভিন্ন বিষয়টি তুলে ধরেছেন। সেগুলির সমাধান করে দ্রুত আমরা এগোনোর চেষ্টা করব। সেই সাথে গুরুত্বপূর্ণ একটি পদক্ষেপ-তা হল প্রধান শিক্ষক নিয়োগের প্যানেল তৈরি। এটা ডিসেম্বরেই হচ্ছে। ডিসেম্বরের মধ্যেই পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে সরকারি সমস্ত নিয়ম মেনে। জেলার স্কুলগুলিতে যাতে প্রধান শিক্ষক নিয়ে আর জটিলতা না থাকে তার জন্য সমস্ত পদক্ষেপ করা হচ্ছে।এই কাজ অনেকটা এগিয়েও গিয়েছে ৷”