Medinipur Live: জলস্বপ্ন নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি,প্রত্যন্ত গ্রামে ছুটলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার
খড়গপুর: দুদিন আগেই জলস্বপ্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন নিয়ে আধিকারিকদের ঢিলেমি না হয় তার জন্য হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সঙ্গে জলের অপচয় যাতে বন্ধ করা হয় সেদিকেও নজর দিতে বলেছেন। তারপরেই নড়ে বসলেন আধিকারিকরা। শনিবার দুপুরে ছুটলেন জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার সহ আধিকারিকরা খড়্গপুরের কলাইকুন্ডা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামে। আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রামে ঢুকে খোঁজ নিলেন তারা সত্যিই পানীয় জল ঠিকভাবে পাচ্ছেন কিনা। পানীয় জলের গুনমান পর্যন্ত পরীক্ষা করলেন আধিকারিকরা।
শনিবার দুপুরে জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদেরী, পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার, সহ অতিরিক্ত জেলাশাসক, মহকুমা শাসক বিডিও সকলেই হাজির হয়ে গিয়েছিলেন খড়গপুর-১ ব্লকের কলাইকুন্ডা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন রিশা গ্রামে। গ্রামের পরিস্থিতি পরিদর্শন করেন ঘুরে ঘুরে জেলাশাসক পুলিশ সুপার সকলে। সঙ্গে ছিলেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের আধিকারিকরাও। মানুষেরা পানীয় জল সরবরাহ কতটা পাচ্ছেন, কি কি সমস্যা রয়েছে সবটা কথা বলে জানার চেষ্টা করলেন আধিকারিকরা। রেশন কার্ড কন্যাশ্রী মিড ডে মিলসহ সরকারি প্রকল্পের কোন কোন সুবিধা পাচ্ছেন কি কি পাচ্ছেন না সেটার খোঁজ নেন জেলা শাসক ও পুলিশ সুপার। এলাকায় পাম্প হাউস ওভারহেড রিজার্ভার নির্মাণের কাজ কতটা এগিয়েছে তাও খোঁজ নিয়েছেন। পরিশেষে গ্রামবাসীদের শীতের মরসুমে কম্বল বিলি করেছেন। একইসঙ্গে গ্রামবাসীদের জন্য যে সমস্ত প্রকল্পগুলি এই মুহূর্তে ওই এলাকায় চলছে তা কতদূর হচ্ছে আগামী ২৫শে ডিসেম্বর তা খতিয়ে দেখতে যাবেন বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক।
দুদিন আগেই মেদিনীপুর শহরে সেচ দপ্তরের মন্ত্রী মানস রঞ্জন ভুঁইয়া সহ জেলাশাসক পুলিশ সুপার সকলেই বৈঠক করেছেন জলস্বপ্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন ও অগ্রগতি নিয়ে। তারপর ফিল্ড ভিজিট শুরু। জেলাশাসক জানিয়েছেন-” ২০২১ সালে জল স্বপ্ন প্রকল্পের আওতায় ছিলেন জেলার ছয় শতাংশ মানুষ। বর্তমানে ২০২৪ এ বেড়ে হয়েছে ৪৩ শতাংশ। ট্যাপ সংযোগের অবস্থা দশ হাজার ছিল, ২০২৪ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩.৯৭ লক্ষ। পাম্প হাউসের সংখ্যা ২০২১ সালে ছিল ১০ টি, ২০২৪ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৮৫ টি। বাড়ি বাড়ি পাইপলাইন ছিল ২০২১ সালে ৬৮০ কিলোমিটার। ২০২৪ সালে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৪০০ কিলোমিটার। আগামী তিন মাসের মধ্যে ১০০ শতাংশ পাম্প হাউসগুলি নির্মাণ সম্পন্ন হবে।”