Dear lottery : একমাত্র যোগাযোগের সেতু থেকে পড়ে পরপর মৃত্যুমুখী, সেতুর তাই নাম “ডিয়ার লটারি”
চন্দ্রকোনা : পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনার বান্দিপুর ১ নম্বর গ্ৰাম পঞ্চায়েত ও মনোহরপুর এক গ্ৰাম পঞ্চায়েতের মধ্যবর্তী এলাকায় শীলাবতী নদীর ওপর দীর্ঘ দিন যাবৎ রয়েছে কাঠের সেতু। সেই সেতু দিয়েই আশপাশের প্রায় ৩০ টি গ্ৰামের কয়েক হাজার মানুষজনের নিত্যদিনের যাতায়াত, যাতায়াতের এক মাত্র ভরসা নড়বড়ে এই কাঠের সেতু। মেরামত না হওয়া এই সেতু থেকেই পড়ে গিয়েই সম্প্রতি কয়েকজন মৃত্যু মুখী ৷ তাহলেও বাধ্য হয়েই গ্রামবাসীরা যাতায়াত করছেন একমাত্র ভরোসা এই সেতুটিকে ৷ তবে ক্ষোভে নাম দিলেন “ডিয়ার লটারি সেতু”৷
সেতুটি চন্দ্রকোনা ২ নম্বর ব্লকের সঙ্গে সংযোগ রয়েছে চন্দ্রকোনা ১ নম্বর ব্লকের। এই সেতুটি বর্তমানে যাতায়াতের অযোগ্য হয়ে পড়েছে, সেতু পরিণত হয়েছে মরণ ফাঁদে। বেশ কয়েকজন মানুষ সেতু পারাপারের সময় সেতু থেকে পড়ে গিয়ে জখম হয়েছেন। গ্রামবাসীদের দাবী একাধিক বার প্রশাসনের দারস্থ হলেও মেলেনি কোন সুরাহা। গ্ৰামবসীরা বলেন কয়েক দিন আগেও এলাকার এক যুবক সেতু থেকে পড়ে গিয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বর্তমানে সেই যুবক ওড়িশার কটকে চিকিৎসাধীন।
বেহাল সেতু নিয়ে গ্রামবাসীরা হাতে পোস্টার নিয়ে বিক্ষোভ দেখান, শেষমেষ সেতুটিকে রাজ্য ডিয়ার লটারির সাথে তুলনা করে সেতুটির নামকরণ করেন রাজ্য ডিয়ার লটারি সেতু, পোস্টারের মাধ্যমে ডিয়ার লটারির সাথে ব্রীজটি কে তুলনা করতে গিয়ে প্রথম পুরস্কারটি মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে, দ্বিতীয় পুরস্কার আজীবন শয্যাশায়ী, তৃতীয় পুরস্কার বহু অর্থ ব্যয়ে কোন রকমে বেঁচে থাকা। অভিনব পদ্ধতিতে কংক্রিটের ব্রীজের দাবী সহ বিক্ষোভ দেখলো পথ চলতি সাধারণ মানুষজন থেকে শুরু করে গ্রামবাসীরা।
বন্যার সময় বেশ কয়েক বার পানার চাপে সেতুটি এক দিকে হেলে পড়ে, বছরের পর বছর ধরে এই অবস্থা। স্থায়ী সমাধান চাইছেন পাশপাশি থাকা তিরিশটি গ্রামের লোকেরা ৷ সুরহার আশায় বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষজন। তৃণমূলের প্রধান মনোহরপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রামচন্দ্র কোটাল পুরো ঘটনায় মানুষের সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ৷ তিনি জানান- “যত দ্রুত সম্ভব এই সেতু নিয়ে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ৷ তা না হলে প্রতিমুহুর্তে মানুষের সমস্যা বাড়বে ৷”