Potato : পশ্চিম মেদিনীপুরে ছটি জায়গাতে নাকা পয়েন্ট পুলিশের আলু রপ্তানি আটকাতে, লক্ষ্য- আলুর দাম কমানো
মেদিনীপুর: রাজ্যে এই মুহূর্তে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা করে আলু কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে। অথচ ৯২ হিমঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু মজুত রয়েছে। পরিকল্পিতভাবে আলুর কালো বাজারে হচ্ছে বলেই মনে করছে প্রশাসন। সম্প্রতি একটি সার্ভে করার পর রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে দিয়েছেন-যতক্ষণ না আলুর বাজারদর নিয়ন্ত্রণে আসছে, এই রাজ্যের আলুর চাহিদা না মিটছে, ততক্ষণ পর্যন্ত আলু রপ্তানি বন্ধ থাকবে বহি:রাজ্যে। তারপর থেকেই রাজ্যের অন্যান্য সীমান্তগুলির সাথে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমান্ত এলাকায় ছটি নাকা পয়েন্ট করে দিল পুলিশ। আটকে দেওয়া হয়েছে বহু আলু ভর্তি লরি ৷ সার দিয়ে ওড়িষ্যা সীমান্তে দাঁড়িয়ে বহু লরি ৷ প্রতিটি লরিকে পরীক্ষা করে পাশ করাচ্ছেন পুলিশ কর্মীরা ৷
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশের কর্তারা জানিয়েছেন, জেলা জুড়ে এমন ছটি নাকা পয়েন্ট করা হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে দাঁতন, মোহনপুর সহ বিভিন্ন সংলগ্ন এলাকা। পশ্চিম মেদিনীপুরে এরকম ছটি স্থানকে চিহ্নিত করে প্রতিমুহূর্তে পুলিশ প্রতিটি গাড়ি পরীক্ষা করছে। যাতে কোনোভাবেই এই রাজ্য থেকে আলু বেরিয়ে না যায়। সেই সাথে সাথে জেলার ৯২ টি হিমঘরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে-পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহি:রাজ্যে রপ্তানির জন্য কোন রকম আলু লরিতে লোড না করা হয়। সেই মতো হিমঘরগুলিও বন্ধ করতে শুরু করেছে বাইরের আলু লোড ৷
এমন নির্দেশের পরেও বহু জায়গা থেকে লরিতে আলু লোড করে উড়িষ্যার দিকে যাওয়ার পথে আটক হয়েছে দাঁতন ও মোহনপুর নাকা পয়েন্টে। বৃহস্পতিবার দুপুরে এমন বহু লরিকে জাতীয় সড়কের ওপর আটকে থাকতে দেখা গেল। লরি চালকেরা জানাচ্ছেন-রাত থেকে আটকে রাখা হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে। কোনভাবেই যেতে দেওয়া হচ্ছে না। এখন আমরা কোন দিকে যাব কি করব বুঝতে পারছি না লোড গাড়ি নিয়ে।
ইতিপূর্বেও কয়েক মাস আগে অনুরূপ কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। আলুর বর্ধিত দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল প্রশাসনের পক্ষ থেকে। সেবার প্রতিবেশী রাজ্যগুলিও এর পাল্টা নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দিয়েছিল। তবে এবার এখনো পর্যন্ত সেরকম না হলেও আপাতত পদক্ষেপ শুরু হল রাজ্যের বিভিন্ন সীমান্ত এলাকাগুলিতে। আলু ব্যাবসায়ীরাও এই বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া দেয় নি ৷