Kharagpur RPF : ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ৩০২ টি চোরাই মোবাইল হস্তান্তর করছিল “কুরিয়াররা”, ফাঁস হয়ে গেল খড়্গপুরে
খড়গপুর: এক্সপ্রেস ট্রেনে করে গাঁজা ও চোরায় সামগ্রী বেশ কয়েকবার পাচার করার ঘটনা সামনে এনেছিল রেলওয়ে আধিকারিকরা। গ্রেপ্তার করে ব্যবস্থাও নেওয়া হয়েছিল। তবে এবার আরও একটি বড়সড় পাচারের ঘটনা ফাঁস করল রেলওয়ে আধিকারিকরা। বিশাল সংখ্যার চোরাই মোবাইল গ্যাং-এর একটি দল থেকে আরেকটি গ্যাং এর হাতে হস্তান্তরিত করার আগেই মাঝে থাকা কুরিয়ারদেরই গ্রেফতার করে নিল আর পি এফ। ৩০২ টি মোবাইল সহ প্রায় চার লক্ষ টাকা নগদ, ও প্রাইভেট কার বাজেয়াপ্ত করল আরপিএফ। সব মিলিয়ে ৬০ লক্ষ টাকার বেশি সামগ্রী হাতে লাগল রেলওয়ে আধিকারিকদের। সামনে এলো কিভাবে চোরাই মোবাইল একটা জায়গা থেকে আরেকটা জায়গায় যায়।
এই ঘটনাটি ধরা পড়েছে সোমবার। রেলওয়ে আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, ঐদিন ইস্ট কোস্ট এক্সপ্রেস যখন খড়্গপুরে প্রবেশ করছিল, তখন ওই এক্সপ্রেসের একটি বগিতে পাশাপাশি দুটি সিটে থাকা এক মহিলা যাত্রী ও এক যুবকের গতিবিধি সন্দেহজনক লাগছিল নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আরপিএফ কর্মীদের। দায়িত্বে থাকা আরপিএফ মহিলা এসকট কর্মীরা বারবার ওই দুই যাত্রীর ব্যাগের দিকে লক্ষ্য করতেই তারা ব্যক্তিকে নিচের দিকে লুকানোর চেষ্টা করছিল বারবার। শেষমেষ ওই ব্যাগটি পরীক্ষা করতে উদ্যোগী হয় ওই আরপিএফ কর্মীরা। তারপরেই ধরা পড়ে যায় সবটা।
দেখা যায় ব্যাগের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে পুরনো মোবাইল রয়েছে। পুরো ব্যাগ সহ দুটি সিটে থাকা এক মহিলা যাত্রী, ও এক যুবককে আটক করে জেলা শুরু করে রেল পুলিশ। তাদের টানা জেরা করার পর শেষ পর্যন্ত সবটা বলে ফেলে তারা। তারা জানায়-” ওই দুজন কুরিয়ার হিসেবে কাজ করছিল। চোরাই মোবাইল একটি গ্যাং এর কাছ থেকে অন্য একটি গ্যাং এর হাতে পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে তারা। এজন্য ১৫০০০ টাকা পায়।”এরপরে ওই কুরিয়ার হিসেবে থাকা দুজনের দেওয়া বর্ণনা অনুসারে খড়গপুর স্টেশন চত্বরেই নির্দিষ্ট স্থানে আগে থেকে অপেক্ষারত আরো চারজনকে ধরে ফেলে রেল পুলিশ। একটি প্রাইভেট কার সহ মোটা টাকা নিয়ে ওই চারজন অপেক্ষা করছিল। যাদের সকলেরই বয়স ৪৭ এর মধ্যে।
মঙ্গলবার আরপিএফ এর পক্ষ থেকে জানানো হয়-ওই যাত্রীদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ৩০২ টি মোবাইল, নগদ ৩ লক্ষ ৯১ হাজার টাকা। উদ্ধার হয়েছে অনেকটাই বিভিন্ন রকমের তথ্য। ৫ জন পুরুষ ও এক মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে, এই কান্ডে। খড়্গপুরে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে তাদের একটি প্রাইভেট কারও।
উদ্ধার হাওয়া মোবাইল গুলির মুল্য প্রায় ৬০ লক্ষ হবে বলে দাবি রেল কর্তাদের ৷ রেলওয়ে আধিকারিকরা জানতে পেরেছেন, চোরাই মোবাইল গুলি সেকেন্দ্রাবাদ থেকে শালিমারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। রেলপথে চোরাই মোবাইল এভাবেই অন্যত্র বিক্রির জন্য ব্যবহার করা হয় বলে তারা জানতে পেরেছে। আপাতত গ্রেফতার হওয়া সকলকে আদালতে হাজির করে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে আরপিএফ ৷