Midnapur : কিডনির-রোগীকে মেয়াদ উত্তীর্ন প্রেসারের ঔষধ, মেদিনীপুর পৌরসভার ৫ কর্মীকে শো-কজ
মেদিনীপুর: মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকার ১১ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রৌঢ় চন্ডীপ্রসাদ দত্ত ৷ ওলিগঞ্জ এলাকার এই বাসিন্দা নিজের চিকিত্সার জন্য বাড়ি থেকে কিছুটা দুরে থাকা মেদিনীপুর পৌরসভার স্বাস্থ্যবিভাগের কাছে গিয়েছিলেন ৷ সেখানে ডাক্তার দেখানোর পরে চিকিত্সক ঔষধ লিখে দিয়েছিলেন ৷ তাঁর দেখানো প্রেসক্রিপশন অনুসারে পৌর স্বাস্থ্য কর্মীরাঔষধ দিয়েছিলেন ৷ তা নিয়ে বাড়িতে ফিরলে পরিবারের লোকেরা দেখেন সেটি মেয়াদ উত্তীর্ন ওষুধ ৷ এরপরেই অভিযোগ করা হয় পৌরসভাতে ৷ সব দেখে পৌরসভার প্রধান সোমবার বিকেলে ৫ স্বাস্থ্যকর্মীকে শো-কজ করেন ৷ উত্তর দেওয়ার জন্য ৩ দিনের সময় দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন পৌরপ্রধান সৌমেন খান ৷
জানাগিয়েছে, মেদিনীপুর শহরের ওলিগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা প্রৌঢ় চন্ডীপ্রসাদ দত্ত একজন অবসরপ্রাপ্ত ব্যাক্তি ৷ তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রেসার ও সুগারের সমস্যাতে ভুগছিলেন ৷ গত ৫ বছর ধরে কিডনির সমস্যা শুরু হয়েছে তাঁর ৷ তাই ব্যায়বহুল চিকিত্সার খরচ সামাল দিতে না পেরে বাড়ির সামনে থাকা মেদিনীপুর পৌরসভার স্বাস্থ্যদফতরে গিয়েছিলেন চিকিত্সা করাতে ৷ সেখানে ডাক্তার দেখানোর পরে চিকিত্সক ঔষধ লিখে দিয়েছিলেন ৷ এরপর সেই প্রেসক্রিপসান নিয়ে পৌরসভার ঔষধের কাউন্টার থেকে ঔষধ নিয়ে বাড়ি ফিরেছিলেন ৷ সেটি খাওয়ার আগে পরিবারের লোকেরা সৌভাগ্যবশত পরীক্ষা করে দেখতে গেলে জানতে পারেন প্রেসারের জন্য দেওয়া ৬ পাতা ওষুধ সবটাই মেয়াদ উত্তীর্ন ৷ তারপরেই টনক নড়ে সকলের ৷ অভিযোগ করেন পৌরসভার কাছে ৷
চন্ডীবাবু বলেন-“ আমি একজন অবসরপ্রাপ্ত কর্মী ৷ পেনসনের টাকায় বিশাল খরচ চালাতে পারছিলাম না ৷ তাই পৌরসভার স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিত্সার জন্য গিয়েছিলাম ৷ সেখান থেকে ঔষধ এনে বাড়িতে রাখার পরে আমার জামাই তা দেখেই ধরে ফেলে সেগুলি মেয়াদ উত্তীর্ন ৷ এরপরে পৌরসভাতে বিষয়টা জানিয়েছি আমি ৷ এটাতে মুহুর্তে বিপদ হতে পারতো আমার ৷ ”
ঘটনার পরেই ন়ড়ে বসে মেদিনীপুর পৌরকর্তারা ৷ সংবাদ মাধ্যমে রীতিমতো জানাজানি হতেই হুলস্থুল কান্ড বেধে যায় ৷ জেলা প্রশাসনের কর্তারা তা নিয়ে খোঁজ নিতে শুরু করেন ৷ এরপরই আধিকারিকদের সাথে আলোচনার পরে পৌরসভার পক্ষ থেকে ব্যাবস্থা নেওয়া হয়েছে ৷ পৌরসভার পৌরপ্রধান সৌমেন খান বলেন- “ ওই কাজে থাকা স্বাস্থ্য দফতরের ৫ কর্মীকে শো-কজ করা হয়েছে ৷ এটা চরম গাফিলতি ৷ তিনদিনের মধ্যে তাদের জবাবা দিতে বলা হয়েছে ৷ জবাব দেখে ব্যাবস্থা নেওয়া হবে ৷”