Salboni: হটাৎ করে স্ব-সহায়ক দলের একাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা,তুলতে না পেরে অবরোধ বিক্ষোভ

শালবনী: হঠাৎ লক্ষ লক্ষ টাকা ঢুকে গিয়েছে মহিলাদের স্ব-সহায়ক গ্রুপগুলির একাউন্টে। তা জানাজানি হতেই টাকা তুলতে ভিড় ব্যাঙ্কে। টাকা না পেতেই পথ অবরোধ। ঘটনাটি বুধবার শালবনীর সৈয়দপুর এলাকায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় শালবনী থানার পুলিশ( Salboni police)। পরে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলে অবরোধ প্রত্যাহার করেন বিক্ষোভকারীরা।
সৈয়দপুর এলাকায় একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে স্ব-সহায়ক গ্রুপগুলির অ্যাকাউন্ট রয়েছে( SHG Group)। ওই ব্যাঙ্ক থেকে আর্থিক লেনদেন করেন তারা। এর আগে লোন নিয়ে পরিশোধও করেছেন। অনেকে আবার এক মাস আগে লোন নিয়েছেন। তারপর চলতি মাসের প্রথমে হঠাৎ তাদের একাউন্টে লক্ষাধিক টাকা ঢুকে যায়। ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রুপ টাকাও তুলে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বাকিরা টাকা তুলতে গেলে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। কিভাবে একাউন্টে টাকা ঢুকলো তার সদুত্তর ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ।
গ্রুপের মহিলারা বলেন, “আমরা কোনো লোনের জন্য আবেদন করিনি। অথচ লক্ষ লক্ষ টাকা একাউন্টে ঢুকে গিয়েছে। ওই টাকা ঘিরে শোরগোল পড়েছে এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দা জয়দেব মাহাত বলেন, “হঠাৎ একাউন্টে টাকা ঢোকায় ব্যাঙ্কে খোঁজ নিতে গিয়েছিলাম। সেখানে গিয়ে দেখি লোন নয়, স্যালারি হিসেবে ওই টাকা একাউন্টে ঢুকেছে। মহিলারা যখন ওই টাকা তুলতে যান কয়েকজনকে দেওয়া হয়েছে। বাকিদের দেওয়া হচ্ছে না। যার ফলে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে ”
আরেক বাসিন্দা সুমন মাহাত বলেন, “আমার মা একটি গ্রুপে রয়েছে। সেই গ্রুপের একাউন্ট রয়েছে ওই ব্যাঙ্কে। ওই একাউন্টেও তিন লক্ষের বেশি টাকা ঢুকেছে। ব্যাঙ্কে খোঁজ নিয়ে টাকা তুলতে গেলে দেয়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে টাকা দেওয়া হবে না। তখন প্রশ্ন করা হয় অন্যদের কেন টাকা দেওয়া হলো। তখন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ জানায়, “যাদের দেওয়া হয়েছে তাদের কাছেও ফেরত নেওয়া হবে।”
টাকা না দেওয়া এবং কিভাবে ঢুকলো তা জানতে না পেরে বুধবার বিকেলে দীর্ঘক্ষণ পথ অবরোধ করেন মহিলারা। পরে ব্যাঙ্কের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। তাতে বলা হয়েছে, “স্ব-সহায়ক গ্রুপের কিছু একাউন্টে লেনদেন সম্পর্কিত কিছু জিজ্ঞাসা আমাদের গ্রাহকদের ছিল। আমরা এই মর্মে সকলকে আশ্বস্ত করছি যে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এ বিষয়ে যথোপযুক্ত অনুসন্ধান করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করব।”