ঝাড়গ্রাম: হাতির হামলায় সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত এই মুহূর্তে ঝাড়গ্রাম জেলা। প্রতিদিনই কোন না কোন এলাকায় হাতির হামলা হচ্ছে। গত ৬ মাসে প্রাণহানির ঘটনা হয়েছে অনেকগুলি। হাতিকে নিরাপদ স্থানে রাখতে গিয়ে রীতিমতো নাজেহাল বনদপ্তর। হতাহত বেড়েই চলেছে। এর মাঝেই সোমবার গভীর রাতে ঝাড়গ্রামের একটি এলাকায় বন্ধ থাকা খাবারের পাকার দোকান ভেঙে সেখান থেকে কুড়কুড়ে প্যাকেট লুট করলো হাতি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা মোবাইল ক্যামেরাতে রেকর্ড করলেন সেই দৃশ্য।
পশ্চিম মেদিনীপুর ঝাড়গ্রাম বাঁকুড়া-এই তিন জেলা হাতির রীতিমতো অনুকূল বাসস্থানের জায়গা হয়ে গিয়েছে। প্রতিদিনই এই এলাকার জঙ্গলমহলেতে হাতিরা জঙ্গল ছেড়ে খাবারের খোঁজে লোকালয়ে প্রবেশ করছে। ফসল থেকে বাড়ির খাবার কিছুই রাখছেনা৷
সবথেকে এই জেলাগুলির মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঝাড়গ্রাম। বহু মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে গত এক বছরে। বহু বাড়িঘর ভাঙ্গা হচ্ছে প্রতি সপ্তাহেতেই। পাকাপাকি সমাধান আজও তৈরি করতে পারেনি বনদপ্তর। শুধুমাত্র প্রাণহানি ও বাড়ির ক্ষতি হলে কিছুটা ক্ষতিপূরণ মিলছে।
সেই তাণ্ডবেরই একটা অংশ দেখা গেল সোমবার গভীর রাতে। ঝাড়গ্রাম জেলার জামবনী রেঞ্জ এলাকার কানিমোহুলি উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় একটি খাবারের দোকান ভাঙলো হাতিতে। রাতের বেলাতে সেই হাতির উপস্থিতি আগেই জানতে পেরেছিলেন স্থানীয়রা ৷ সকলকে সাবধান করে তৈরী ছিলেন ৷ সেই গ্রামবাসীদের ক্যামেরাতেই ধরা পড়লো হাতির তান্ডবের মুহুর্ত৷ তিনটি হাতি দল বিচ্ছিন্ন হয়ে ওই এলাকায় ঘোরাফেরা করছে কয়েকদিন ধরে। তারই একটি হাতি দোকান ভেঙে রাতের বেলা বিভিন্ন খাবার লুঠ করে খাচ্ছে দেখা গেল।
অনেক পরে গ্রামবাসীরা হাতিটিকে অন্যত্র সরাতে সক্ষম হলেও পরে গ্রামে যেকোনো রকম ক্ষতি করতে পারে এই আশঙ্কা থেকে বনদপ্তর মাইকিং করে সাবধান করেছে ভোরবেলা থেকেই। এলাকায় কোনো জায়গাতে মদ মজুদ না রাখা, মদ্যপান করে এলাকায় কেউ যাতে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।