flood: কেশপুরের চারটি স্থানে ভেঙে গেল নদী বাঁধ, চন্দ্রকোনাতে ভাঙলো শিলাবতী নদীর বাঁধ, ফের প্লাবিত কেশপুর ও চন্দ্রকোনা

কেশপুর: গত কয়েক দিনের প্রবল বর্ষণের কারণে সদ্য প্লাবিত পরিস্থিতি থেকে উঠে আসা পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক স্থানে প্লাবন পরিস্থিতি তৈরি হয়ে গেল। কেশপুরে কুবাই নদীতে ভেঙে গেল চারটি স্থানে নদীর বাঁধ। দুদিন ধরে প্লাবন পরিস্থিতি কেশপুরের মুগবাসান সহ বিস্তীর্ণ এলাকায়। রবিবার সকালে চন্দ্রকোনার ভবানীপুর এলাকায় ভেঙে নষ্ট হয়ে গেল শিলাবতী নদীর বাঁধ। ফলে একসঙ্গে এদিন দুপুরের মধ্যে প্লাবিত পরিস্থিতি তৈরি হলো ওই এলাকার বহু গ্রামে।
গত তিন সপ্তাহ আগেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল কেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবন পরিস্থিতি থেকে কিছুটা উদ্ধার হয়েছিল। চাষিরা নিজেদের ঘুরে দাঁড় করানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ফের দানা ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপ ও প্রবল বর্ষণ। তাতেই প্রচুর পরিমাণে বিভিন্ন নদীগুলি-তে জল বেড়ে জলস্ফীতি তৈরি হলো। কেশপুরে শনিবারই কুবাই পারাং ও তমাল নদীতে চারটি স্থানে বাঁধ ভাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। তার জেরে কেশপুরের আনন্দপুর, মুগবাসান, ইছাইপুর সহ বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েত প্লাবিত হতে শুরু করেছিল। গভীর রাত পর্যন্ত আনন্দপুর এলাকাতে নদী বাঁধ মেরামতের জন্য কাজ করেছেন গ্রামবাসীরা।
একইভাবে জলস্ফিতির কারণে চন্দ্রকোনা এক ব্লকের ভবানীপুর এলাকায় শিলাবতী নদীর সদ্য নির্মিত বাঁধ ভেঙে ভেসে যায়। এতে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে গ্রামের। বহু গ্রাম প্লাবিত হয়েছে রবিবার সকাল থেকে। স্থানীয় গ্রামবাসী প্রদীপ ঘোষ জানাচ্ছেন-” ডিভিসির ছাড়া জলের কারণে গত বন্যাতে এই বাঁধটি ভেঙ্গে গিয়েছিল শিলাবতীর। তাকে নতুন করে নির্মাণ করা হয়েছিল। এর জলের চাপ তৈরি হওয়াতে রবিবার ভেঙে ভেসে গেল সবটাই। জলের এত স্রোত ছিল যে এই বাঁধ আটকানো সাধ্য ছিল না। এটি নতুন করে বহু গ্রাম প্লাবিত হলো চন্দ্রকোনাতে।”
কেশপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রতিমন্ত্রী শিউলি সাহা বলেন-” ১৯৯৮ সালের পর এবার অনেক বড় বন্যা হয়েছে। এত ব্যাপক আকারে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়া ও বন্যা আগে হয়নি। প্রশাসনের উচিত ঘূর্ণিঝড়ের তুলনায় এই বন্যা প্লাবিত এলাকার দিকে বেশি নজর দেওয়া। আমি জেলা শাসক থেকে আধিকারিকদের সকলকে এই বিষয়টি জানিয়েছে। জানানো হচ্ছে সংশ্লিষ্ট দপ্তরেও।”