মেদিনীপুর: বন্যার জল কমে গিয়েছে কংসাবতী নদীতে। তারপরেই কমে যাওয়া জলে বিভিন্ন রকমের বড় মাছ ধরা পড়ছে মাছ শিকারীদের ছিপে। মেদিনীপুর সদর ব্লক এর বিভিন্ন এলাকাতে গ্রামবাসীরা প্রতিদিনই হাজার হাজার টাকার মাছ ধরছেন শুধুমাত্র ছিপেই। সাত কিলো ওজনের মাছও নাকি ছিপের সুতোতেই ধরা পড়ছে। আর ছিপের সেই মাছ বিক্রি হচ্ছে প্রতিদিনই রাস্তার ওপরে। অনেকেই মনে করছেন- বন্যার পর প্রায় এক মাস ধরে কিছুটা সুদিন কংসাবতী পাড়ের বাসিন্দাদের কাছে।
গত এক মাসে বিভিন্ন জলাধার থেকে ছাড়া জলের কারণে যে বন্যা পরিস্থিতি পশ্চিম মেদিনীপুরে তৈরি হয়েছিল তাতে কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। বহু পুকুর জলাশয় বাড়িঘর জলে ভেসে গিয়েছিল। মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। বর্তমানে সেই পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। ডুবে যাওয়া চাষবাস থেকে ঘরবাড়ি মেরামত করা শুরু হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পদক্ষেপ পর পর শুরু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় একটা নেতিবাচক ছাপ পড়েছে।
কিন্তু অনেকের কাছেই এই মুহূর্তে কংসাবতী নদী কিছুটা সুদিন ফিরিয়ে দিয়েছে রোজগারের দিক থেকে। মেদিনীপুর সদর ব্লকের হরিশপুর, জোয়ারহাটি ও পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারা প্রতিদিনই ছিপ ও বিভিন্ন রকম সুতা ব্যবহার করে হাজার হাজার টাকার বিভিন্ন রকমের মাছ ধরছেন কংসাবতী নদীতে। জালের তুলনায় ছিপেতে মাছ পড়ছে অনেক বেশি। গত তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এই সুবর্ণ সুযোগ গ্রহণ করছেন ওই দুই পাড়ের বাসিন্দারা। শনিবার বিকেলেও বহু মানুষকে দেখা গেল জুয়ারহাটি ও পাশাপাশি গ্রামের লোকজনকে ছিপ ফেলে মাছ ধরতে।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, প্রতিদিনই প্রতিটি মানুষই বিভিন্ন সাইজের মাছ ধরতে পারছেন। রুই কাতলা থেকে বিভিন্ন রকম মাছ তারা পাচ্ছেন। পরিবারের একদল লোক মাছ ধরছেন নদীর পাড়ে বসে। অপর একদল সদস্য বা সদস্যরা রাস্তায় বসে সেই মাছ বিক্রি করছেন। প্রতিদিনই হাজার টাকা ছুঁয়ে ফেলছে মাছ ধরেই রোজগার।