Abhisekh Banerjee: অভিষেক ব্যানার্জীর প্রতিশ্রুত, রবিবার ছুটির দিনেও আধিকারিকদের ক্যাম্প মাতকাতপুরে
মাতকাতপুর: অভিষেক ব্যানার্জি শনিবার আনন্দপুরের সমাবেশে পৌঁছানোর
আগে গ্রামবাসীদের খোঁজ নিতে হাজির হয়েছিলেন মাতকাতপুর গ্রামে। গ্রামবাসীরা
নিজেদের বসতভিটার জটিলতা ও শিক্ষার জন্য বিদ্যালয় দাবি করেছিলেন। ইতিবাচক
প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। সেই মতো রবিবার ছুটির দিনেও সকাল থেকে ক্যাম্প করে কাগুজে কাজপত্র শুরু করে
দিলেন আধিকারিকরা। নাম নথিভুক্তি করণ শুরু হলো গ্রামবাসীদের। উচ্ছ্বাসিত
গ্রামবাসীরা।
ওই এলাকায় ৯০ টির বেশি গরীব পরিবার রয়েছে। যাদের বেশিরভাগটাই
শ্রমজীবী। কেউ বালির খাদানে কাজ করেন কেউ বা অন্যত্র। এই ধরনের শ্রমিকরা সেচ
দপ্তরের খাস জমিতে বসবাস করেন। স্বাভাবিকভাবে তাদের বাসস্থানের বৈধ কোন কাগজপত্র
নেই। সরকারি একাধিক বৈধতার সুবিধাও তারা পায়নি। এই গ্রামেতেই অভিষেক ব্যানার্জির
পদার্পণ হয়েছিল শনিবার। সমস্যা তার কানে উঠতেই গ্রাম থেকেই সরাসরি ফোন করেছিলেন
আধিকারিককে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছিলেন। রাত কাটতেই যেমন অনুরোধ তেমন
কাজ।
রবিবার ছুটির দিন হলেও দেখা যায় রবিবার বেলা ১১ টার পরে সেই গ্রামে পৌঁছে গিয়েছেন
সরকারি বিভিন্ন আধিকারিকরা। রবিবার দুপুরে হঠাৎ সেই গ্রামে খড়গপুর ১ ব্লকের বিডিও,
বিডিও অফিসের অন্যান্য আধিকারিকরা, ভূমি দপ্তর
এর আধিকারিকসহ জেলাশাসকের দপ্তর থেকেও একদল অফিসার সেখানে হাজির হয়। রবিবার দুপুর
থেকে রীতিমতো চেয়ার টেবিল ফেলে ক্যাম্প করে গ্রামবাসীদের নাম নথিভুক্তকরণ শুরু
হয়। কে কতদিন ধরে বসবাস করছে, ন্যূনতম কোন কাগজপত্র রয়েছে
কিনা সবটাই খোঁজ নেন আধিকারিকরা। কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন খড়গপুর গ্রামীণের
বিধায়ক দীনেন রায়।
খড়গপুর এক ব্লকের বিডিও দেব দত্ত চক্রবর্তী বলেন-” এই এলাকার
গ্রামবাসীদের পরিস্থিতি খোঁজ নিতেই এসেছিলাম। এখানকার আইসিডিএস সহ বিভিন্ন
জিনিসপত্র খোঁজ নিলাম। এগুলি নিয়ে বিচার বিবেচনা করা হবে। এলাকার লোকজন
বাসস্থানের স্থায়ী কাগজপত্র পাচ্ছিলেন না তাই তাদের পাট্টার আবেদন পত্র গুলো
নেওয়া হচ্ছে।” এদিনের
উদ্যোগে খুশী গ্রামবাসীরাও ৷