ক্ষীরপাই: শীতের ভোরে ভয়াবহ আগুন
লাগার ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের ক্ষীরপাই এর হালদার দীঘি এলাকাতে। ঘুমিয়ে থাকা
একটি বস্তির পরিবারের সদস্যদের বাড়ি গুলিতে পরপর আগুনে ভষ্মীভূত হয়ে গেল সবটাই।
দমকল এসে শেষ মুহূর্তে নিয়ন্ত্রণ করলেও বাড়ির জিনিসপত্র সবটাই নিঃস্ব।
জানা গিয়েছে সোমবার বস্তিতে
বিধ্বংসী আগুনে ভস্মিভূত হয়েছে ৮ টি বাড়ি,আংশিক ক্ষতি বেশ কয়েকটির
।আগুনে পুড়লো প্রয়োজনীয় নথি থেকে শুরু করে, সমস্ত কিছুই।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকল এসে আগুন যাতে
ছড়িয়ে না পড়ে অন্য বাড়িতে তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শ্রমিকদের বহু পরিবার প্রায় আট বছরের বেশি
সময় ধরে ওই ক্ষীরপাই পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের হালদারদিঘী এলাকায় থাকছিলেন।
সেখানে ছিল স্থানীয় বেশ কিছু শ্রমিক পরিবারো। ছোট ছোট ঝুপড়ি তৈরি করে ১৫ টির
বেশী পরিবার সেখানে বসবাস করছিল। সোমবার রাত তিনটে নাগাদ হঠাৎ ঝুপড়ির বাড়িগুলিতে
ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। স্থানীয় রায় একে অপরে যতটুকু সম্ভব উদ্ধার করেছে। তবে
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। দমকল এসে যতক্ষণে নিয়ন্ত্রণ করেছিল ততক্ষণে ৮ টি
ঝুপড়ি পুড়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছে। তবে পরিবার গুলির কোন সদস্য আগুনে দগ্ধ বা
ক্ষতিগ্রস্ত হননি।
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্য থেকে রোজিনা বিবির
দাবি- “বস্তিতে কেউ বা কারা আগুন
লাগিয়ে দিয়েছে। তাই আগুন দ্রুত ভয়াবহ আকার ধারণ করে,”
পাশাপাশি জলের কোন ব্যবস্থা না থাকায় স্থানীয়
বাসিন্দারা আগুন নেভাতে অক্ষম হয়। পরে খবর দেওয়া হয় ঘাটালের দমকলে, খবর পেয়ে দমকলের একটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভালেও ৮ টি বাড়ির সম্পূর্ণ
ক্ষতিগ্রস্ত। যদিও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির পাশে দাঁড়িয়েছে ক্ষীরপাই পৌরসভা।