D A : “সরকার DA দেবে, মামলা মোকদ্দমা না করে সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসুন, সরকার বঞ্চিত করবেনা”-সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের সভায় বললেন মানস ভূঁইয়া
মেদিনীপুর: সরকারি কর্মচারী
ফেডারেশনকে সংগঠিত করে পশ্চিম মেদিনীপুরে নতুন করে সাজালেন সংগঠনের রাজ্য কমিটির
চেয়ারম্যান মানস রঞ্জন ভূঁইয়া। এই উপলক্ষে রবিবার দিনভর বেশ কিছু বৈঠক ও
প্রস্তুতি সেরেছেন। জেলার নতুন কমিটি গঠন করার পর একাধিক
হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন কর্মচারী সংগঠনকে।
মেদিনীপুর শহরের ফেডারেশন হলে
এদিন মানস রঞ্জন ভূইয়া বলেন-“সংগঠনের ভেতরে এখনো অনেক বিজেপি বামের লোক ঢুকে
বসে আছে। আমি এক এক করে পুটি মাছ ছেকে বার করে দেব। বিভিন্ন সরকারি অফিসে বিরোধী
বাম আর এস পি ও বিজেপি সংগঠনের লোকজন ঢোল কাটছে। এসবগুলোর এক এক করে লাইন কাটতে
হবে আমাদের। কাল থেকেই রাজ্যের সমস্ত সরকারি অফিসে নিজেদের সংগঠনকে সক্রিয় করুন।
পার্সোনাল চেম্বারে না বসে সরকারি কর্মচারী সংগঠনের অফিসে বসুন। না হলে সবার ব্রাঞ্চ
কাঁচি দিয়ে কেটে দেব। সকলে বাজ পাখির মত সতর্ক দৃষ্টি রাখুন সরকারি অফিস গুলিতে, বাম সরকারি কর্মীরা চরম ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে অফিস গুলিতে।”
তৃণমূলের কর্মচারী ফেডারেশনের
বিভিন্ন গোষ্ঠী ও তার কোন্দল প্রসঙ্গে এদিন কর্মচারী ফেডারেশনের সভায় তৃণমূলের
জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত মাইতি সভাস্থলে বলেন-“আপনাদের সংগঠনের দুভাগ তিন ভাগ
চার ভাগ আমার মন:পুত হচ্ছিল না, আমি এই সংস্কৃতিতে বিশ্বাসী নয় বলেই ওদের কথা এতদিন শুনছিলাম না। আপনারা
গৌরাঙ্গের মতো দুহাত তুলে বলবেন আমরা তৃণমূলের কর্মী সংগঠন। তাহলে নির্বাচনের সময়
সরকারি কর্মচারীদের ভোট কেন কম পাবে তৃণমূল? সরকারি
অফিসগুলোতে যা ইচ্ছা তাই করে যাচ্ছে বিরোধীদের কর্মচারী সংগঠন। আর বদনামগুলো
সরকারকে বয়ে বেড়াতে হচ্ছে। এই জেলায় ১৫ টার মধ্যে ১৩ টা বিধানসভা আমরা উদ্ধার
করেছি। ঘাটাল বিধানসভা হেরেছি শুধুমাত্র সরকারি কর্মচারীদের
ভোট পাইনি বলে। একই ঘটনা ঘটেছে খড়্গপুরেও। তাই মনে রাখবেন কর্মচারী ফেডারেশনের
গ্রুপ বা দল কোন ভাবে বরদাস্ত করা হবে না।”
এদিন ডিএ প্রসঙ্গে মানস রঞ্জন
ভূঁইয়া বলেন-” আমাদের সরকার DA দিচ্ছে, তবে পার্সেন্টেজটা কম। কেন্দ্রীয় সরকার মোটা টাকা আটকে রেখেছে আমাদের।
সেটা থেকে সংস্থানের চেষ্টা করছেন মুখ্যমন্ত্রী। সুযোগ হলেই দেওয়া হবে। তবে তার
আগে কর্মীদের বলবো মামলা-মোকদ্দমা করে কষ্ট করে লাভ নেই ।
সরকারের সঙ্গে সমঝোতায় আসুন৷ কাউকেই বঞ্চিত করবেনা
সরকার”
এই মন্তব্যকে কটাক্ষ করেছে বিজেপি ৷ বিজেপির
পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সহ সভাপতি শঙ্কর গুছাইত বলেন-“ মানস বাবুর লজ্জা থাকা দরকার
৷ উনি নাকি মন্ত্রী ৷ সব রাজ্যে ৩৫ থেকে ৩৭ শতাংশ ডিএ, এই রাজ্যে সেটা ৩ শতাংশ ৷ ২০১১
সালে মমতা ব্যানার্জী বলেছিলেন-যে সরকার ডিএ দিতে পারেনা , তাদের ক্ষমতায় থাকার প্রয়োজন
নেই ৷ আজ উনিও তাই করছেন ৷”