Keshpur: কেশপুরে তৃণমূলের কার্যালয়ে তালা ঝোলালো সিপিআইএম, সিপিআইএমের দাবী “কার্যালয় আমাদের”

 

কেশপুর: কেশপুরে তৃণমূলের
কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিল সিপিআইএমের কর্মীরা। শনিবার বিকেল থেকে লাগানো তালা
রবিবার সকালে পুলিশের সহযোগিতায় খুলল তৃণমূল। তৃণমূলের দাবি- ” স্থানীয়দের
দিয়ে উস্কানি দিতে এই কাজ করেছে সিপিআইএম। প্রশাসন
কে জানিয়ে
পুনরুদ্ধার হয়েছে”। সিপিআইএমের দাবি-” ওই কার্যালয়ে আমাদের। আমরা
পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি”। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ঘটনায় তোলপাড়
পরিস্থিতি শুরু হলো কেশপুরে।

কেশপুরের মহিষদা এলাকায় ২০১১ এর
পর থেকে একটি বড় তৃণমূলের কার্যালয় ছিল। এলাকার সিপিআইএমের নেতাকর্মীরা তৃণমূল
ক্ষমতায় আসার পর এলাকা ছেড়েছিল। ওই কার্যালয় থেকেই তখন তৃণমূল নিজেদের সমস্ত
রাজনৈতিক কর্মসূচি পরিচালনা করত। কার্যালয় থেকে ২০০ মিটার দূরে তৃণমূলের তারকা
সাংসদ দেব তথা দীপক অধিকারীর জেঠুর বাড়ি। তৃণমূল ওই এলাকায় যথেষ্ট সক্রিয়।

শনিবার বিকেলে তৃণমূলের ওই মহিষদা
কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়
স্থানীয় সিপিআইএমের নেতাকর্মীরা। বিষয়টি বেগতিক বলে বুঝে যায় তৃণমূলের কর্মীরাও। জেলা নেতাদের মাধ্যমে
পুলিশকে জানায় বিষয়টি তারা। কেশপুর থানার পুলিশের এফআইআর করার পর রবিবার সকালে
সেই কার্যালয়ের তালা খোলা হয়।

তৃণমূলের জেলা কো-অর্ডিনেটর অজিত
মাইতির দাবি- ” কোন এক মাতালকে দিয়ে সিপিআইএম উস্কানি দিতে এই তালা
ঝুলিয়েছিল। আমরা প্রশাসনের সহযোগিতায় তালা খুলেছি। কর্মীরা পুনরায়
স্বাভাবিকভাবে কাজকর্ম করতে শুরু করেছে সেখানে। এভাবে সিপিআইএম সেখানে নিজেদের
কাজকর্ম কখনোই স্বাভাবিকভাবে করতে পারবে না।”

এই প্রসঙ্গে কেশপুরের জামশেদ ভবনে
বসে স্থানীয় সিপিআইএমের এরিয়া কমিটির সম্পাদক নিয়ামত হোসেন বলেন- “কোন
মাতাল নয়
,আমাদের কর্মীদের দিয়েই এই তালা মেরেছিলাম ।কার্যালয়টি
আমাদের
,আমরা পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি।ওই কার্যালয় আমাদের
ছিল
, একসময় তৃণমূল দখল করেছিল।আমরা আবার দখল করেছিলাম।
কিন্তু পরে আবার ওরা দখল করে নেয়। আমরা পুনরায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তা
পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করেছি। এমন অনেকগুলি কার্যালয় তৃণমূল দখল করে রেখেছে সেগুলো
উদ্ধার হবে।”

উল্লেখ্য,
২০১১ এর পরে কেশপুরে সিপিআইএম বা বামেদের তেমন কোন অস্তিত্ব না থাকলেও সম্প্রতি
ফের তাদের উত্থান শুরু হয়েছে। তারপরেই ফের সিপিএমের সঙ্গে মুখোমুখি মোকাবেলার
পর্ব শুরু হয়েছে শাসক দল তৃণমূলের।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page