elephant attack: এবার হাতির ত্রাস মেদিনীপুরে,কয়েক ঘন্টার পার্থক্যে হাতির হামলায় মৃত্যু হল দুই মহিলার,মৃত্যু আটকাতে মাইকিং শুরু করল বনদপ্তর

 

মেদিনীপুর: এক সপ্তাহে ঝাড়গ্রাম
জেলাতে হাতির হামলায় মৃত্যু হয়েছিল সাত জনের
, বাড়ি ভেঙেছিল ২১
টি।আতঙ্কিত ঝাড়গ্রাম নিয়ন্ত্রণের আগেই হাতির হামলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের
খেমাশুলি ও মুড়াকাটা এলাকায়
রবিবার রাত থেকে সকালের মধ্যেই
হাতির হামলায় মারা পড়লেন দুই মহিলা। মৃত্যু মিছিল আটকাতে সকাল থেকে মাইকিং শুরু
করলো বনদপ্তর।
নিষেধ হল কাঠ ও মহুল সংগ্রহ ৷

রবিবার রাত একটা নাগাদ, খড়্গপুরের খেমাশুলি এলাকাতে খাবারের খোঁজে গ্রামে ঢুকে পড়েছিল একটি
হাতি। গ্রামবাসীরা বুঝতে পারেননি। খাবার খুঁজতে একটি বাড়ি ভাঙার সময় ললিতা
মাহাতো(৫০ )নামে এক মহিলা সামনে চলে এসেছিলেন হাতির। সেখানে তাকে তুলে আছড়ে মেরে
ফেলে হাতিতে। গ্রামবাসী ও বনদপ্তর উদ্যোগ নিয়ে দেহ উদ্ধার করে তার।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আগেই ফের
দুর্ঘটনা ঘটে মেদিনীপুর সদর ব্লকের মুড়াকাটা এলাকায়। স্থানীয় বৃদ্ধা শিলা
ঘোড়ই(৬০) রোজকার মতো কাঠ সংগ্রহে গিয়েছিলেন গ্রামের পাশেই জঙ্গলে। জানতেন না
সেখানে আগের রাতে হাতি প্রবেশ করেছে। হঠাৎ হাতি সামনে চলে আসে। তাকে তুলে আছড়ে দাঁত
ফুটিয়ে দেয় শরীরের দুটি স্থানে। গ্রামবাসীরা বুঝতে পেরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে
মেদিনীপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। চিকিৎসা চলার মাঝেই বেলা
রবিবার দশটা নাগাদ তার মৃত্যু হয় সেখানে।


কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে পরপর দুই
মৃত্যুতে ঝাড়গ্রামের পর আতঙ্কিত হয়ে পড়ে মেদিনীপুর সদরের জঙ্গলমহল এলাকার
বাসিন্দারাও। মৃত্যু মিছিল আটকাতে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে সদরের যে সমস্ত এলাকায়
হাতি রয়েছে পাশাপাশি গ্রামগুলিতে মাইকিং শুরু করে বনদপ্তর। ম
হুল কুড়ানো ও কাঠ সংগ্রহ থেকে সকলকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। তবে
আতঙ্ক অব্যাহত সর্বত্র।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page