elephant trunkulize :দলছুট হাতি পার্কে, ট্রাঙ্কুলাইজে গিয়ে হামলায় আক্রান্ত রেঞ্জার,বিকালে ঘুমপাড়ানি গুলিতে ঘুমোলো হাতি
মেদিনীপুর: দুদিন ধরে একাধিক স্থানে হামলা চালিয়ে দল বিচ্ছিন্ন
হাতি মঙ্গলবার বেলা দশটা নাগাদ প্রবেশ করেছিল মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা গোপগড় ইকোপার্কে
৷ হুলস্থুল কান্ড বেধে যায় ৷ আতঙ্কে পার্কে আগতরা উঠে পড়ে ওয়াচ টাওয়ারে ৷ হাতিকে কাবু
করতে ট্রাঙ্কুলাইজার নিয়ে হাজির হয় বনকর্তারা ৷তখনই রেঞ্জারকে হামলা করে হাতি, আহত
হয়ে প্রাণে বাঁচলেন রেঞ্জার৷ সকলকে হিমশিম খাইয়ে বিকেলে ঘুমপাড়ালি গুলিতে কাবু হল
দলছুট দামাল হাতি ৷
গত একসপ্তাহ ধরে পশ্চিম মেদিনীপুরে বিভিন্ন
স্থানে হামলা চলেছে হাতির ৷ খড়্গপুরে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে ৷ সেখানে
বাড়ি ঘর ভাঙার পরে মেদিনীপুর সদর ও শালবনীতেও হাতির হামলার ঘটনা ঘটেছে ৷ বনদফতর
একটি হাতিকে চিহ্নিত করেছিল সোমবারই ৷ তাকে ঘুমপাড়ানি গুলিতে কাবু করার সিদ্ধান্ত
নিয়ে খড়্গপুরের দিকে সকালে বের হলেও দেখা যায় দশটা নাগাদ সে পালিয়ে প্রবেশ করে
মেদিনীপুর শহর সংলগ্ন গোপগ়ড় ইকোপার্কে ৷ শুরু হয়ে যায় পার্কে হুলস্থুল কান্ড ৷
পার্কে থাকা পর্যটকেরা আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করলে তাদের ধরে ওয়াচ টাওয়ারে তুলে দেয়
বনকর্মীরা ৷ ততক্ষনে সেখানে হাজির হন বনদফতরের ট্রাঙ্কুলাইজার বাহিনী ৷ নেতৃত্বে
মেদিনীপুরের রেঞ্জার পাপন মহান্ত ৷ শুরু হয় সেই হাতিকে ঘুমপাড়ানি গুলি মারার
চেষ্টা ৷ টার্গেট করে এগোনোর সময় বিগড়ে বসে সেই হাতি ৷ হঠাত ইউটার্ন নিয়ে ঘুরে
যায় রেঞ্জার পাপন মহান্তর দিকে ৷ দ্রুত পালাতে গিয়েও হাতির আক্রমনে পড়েন তিনি ৷
হাতি তাকে শুঁড়ে তুলে আছাড় দেওয়ার চেষ্টা করে ৷ বনকর্মীরা ও রেঞ্জার নিজ চেষ্টা
কৌশলে শুঁড়কে আটকে দেওয়া হয় ৷ হাতি তাকে পা-য়ে ফেলে দুবার চেষ্টা করে পিষে মারার ৷ কিন্তু সৌভাগ্যবশত পাল্টি খেয়ে সরে
তা বিফল করেন রেঞ্জার ৷ অনেক চেষ্টাতে বনকর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে ৷ ততক্ষনে
অনেকটাই আহত হয়েছেন রেঞ্জার ৷ তাঁকে দ্রুত উদ্ধার করে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৷
এরপর ঘুমপাড়ানির কাজে নামেন
মুখ্যবনপাল অশোক প্রতাপ সিং ৷ বেলা বারোটার পর থেকে চেষ্টা করে আড়াইটে নাগাদ
হাতিটিকে গুমপাড়ানি গুলি করতে সক্ষম হন ৷
গভীর ঘুমে কাবু হলে হাতিটিকে ক্রেনে করে তুলে অন্যত্র
সরানোর উদ্যোগ নেওয়া হয় ৷ অশোক প্রতাপ সিং বলেন- “হাতিটি দল
ছাড়া হয়ে যাওয়াতেই এই উগ্রতা তৈরী হয়েছিল ৷ এর জন্য যা ব্যাবস্থা নেওয়ার তা নেওয়া
হচ্ছে ৷”