ঘাটালঃ সদ্যজাত শিশুটি নিস্তেজ
ছিল ৷ অপরিণত শিশুর পরিস্থিতি দেখে ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করে দেয় ঘাটাল সুপার
স্পেশালিটি হাসপাতাল ৷ বাড়িতে ফিরে সমাধি দেওয়া প্রস্তুতি শুর হয় ৷ শোকের পরিবেশ
হঠাত দেখা যায় শিশুটি নড়ছে ও স্বাস নিচ্ছে ৷ দ্রুত তাঁকে রাতেই উদ্ধার করে
হাসপাতালে নিয়ে এলে কিছুক্ষন পরে মারা যায় শিশুটি৷ এরপরই হাসপাতালের চিকিত্সকদের
গাফলিতির অভিযোগ করে বিক্ষোভ দেখায় পরিবারের সদস্যরা ৷ তড়িঘড়ি ব্যাবস্থা নেয়
স্বাস্থ্যদফতরও ৷ জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন- “তদন্ত
কমিটি তৈরী হয়েছে ৷ বিভাগীয় ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে ৷এই ধরনের গাফিলতি আমরা মেনে
নিতে পারিনা”৷
পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার বড়ডিহার
বাসিন্দা সন্তান সম্ভবা মোনালিয়া বিবি ৭ এপ্রিল ভর্তি হয়েছিলেন ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি
হাসপাতালে ৷ সেখানে ৮ এপ্রিল দুপুরে একটি অপরিণত সিশুর জন্মদেন ৷ চিকিত্সকদের ব্যাখ্যা
অনুসারে শিশুটি ২২ সপ্তাহে জন্মেছিল, ৪৪০ গ্রাম ওজনের ছিল,শারিরীক পরিস্থিতি খুবই খারাপ ছিল ৷ তাঁকে এসএনসিইউ তে ভর্তি করা হয় ৷ বিকেল
৫ টা নাগাদ পরিস্থিতি দেখে ডেথ ঘোষনা করা হয় বলে পরিবারের দাবি ৷ এরপর পরিবারের লোকেরা
সেই শিশুকে প্লাস্টিকে মুড়ে বাড়িতে নিয়ে চলে যায় ৷ রাতে সিশুর বাড়ির এলাকায় সমাধি
দেওয়ার প্রস্তুতি শুরু হয় ৷ কবরে দেওয়ার আগে পরিবারের লোকেরা দেখতে পান শিশুটি নড়ছে
ও শ্বাস নিচ্ছে৷ এরপরই দ্রুত তাঁকে নিয়ে ফের হাসপাতালে হাজির হন সকলে ৷ হাসপাতালে ব্যাবস্থা
নেওয়ার পরও মারা যায় শিশুটি ৷
এই ঘটনাতে হাসপাতালের চিকিত্সকদের
গাফলতি বলে দাবি করে বিক্ষোভ শুরু হয় পরিবার ও স্থানীয়দের ৷ রাতের পরে রবিবার সকাল
থেকে ফের পরিবারের লোকেরা বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন ৷ এই বিক্ষোভ শামিল হয় বিজেপিও ৷ সেখানে
হাজির হন ঘাটালের বিজেপি বিধায়ক শীতল কপাট ৷ তিনি কথা বলেন – চিকিত্সক ও হাসপাতালের কর্মীদের সাথে ৷ তবে সুপার কথা বলেন নি বলেই দাবি ৷
শীতল কপাট হাসপাতালের সুপার সহ রোগীকল্যান সমিতির লোকজনদের দায়ী করেছেন ৷ তাঁর
দাবি– “অবিলম্বে চিকিতসক ও সুপারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যাবস্থা নিতে”৷
পরিস্থিতি নিয়ে তোলপাড় তৈরী হয় ৷
কিভাবে জীবিতকে মৃত বলে ঘোষনা করতে পারে ডাক্তার তার প্রশ্ন ওঠে ৷ চিকিত্সকরাও মনে
করছেন- কেউ মারা গেলে কমপক্ষে চার ঘন্টা পরে তাঁর ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করতে হয় ৷
তার আগেই দেওয়াটা ঠিক হয় নি ৷ তবে এই
প্রসঙ্গে জেলার মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সৌম্যশঙ্কর সারেঙ্গী বলেন- “বিষয়টি
প্রাথমিক ভাবে শুনেছি ৷ শিশুটি অপরিনত ও জটিল পরিস্থিতির মধ্যে ছিল ৷ বাঁচানোটাও
চ্যালেঞ্জ ছিল ৷ কিন্তু এই সার্টিফিকেট ইস্যু করাটা যে গাফিলতি তা মেনে নেওয়া যায়
না ৷ তদন্ত কমিটি গঠন করে ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে দায়ীত্বে তাকা চিকিত্সকের
বিরুদ্ধে ৷”