Minority :করোনা পর্বের পর বৈঠকে বসে সংখ্যালঘু কমিশন জানলো “নাবালিকা বিয়ে, কমবয়সী মাতৃ মৃত্যু অনেকটাই হয়েছে করোনা পর্বে”

 

মেদিনীপুর: করোনা পর্ব পার করে
বেশ কিছু সময়ের পর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে পর্যালোচনা
বৈঠকে হাজির হয়েছিলেন ওয়েস্ট বেঙ্গল মাইনরিটি কমিশন এর কর্তারা। অন্যান্য
সদস্যদের সঙ্গে হাজির ছিলেন কমিশনের চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা ড: মমতাজ সংঘমিতা।
মেদিনীপুর শহরে জেলা শাসকের দপ্তরে দুই দফায় বৈঠক করেন সন্ধ্যে পর্যন্ত। ঘুরে
দেখলেন মুসলিম গার্লস হোস্টেলও। চেয়ারপার্সন এদিন জানান-” উন্নয়নের গতি
সংখ্যালঘুদের জন্য যথেষ্টই রয়েছে। কিন্তু করোনা পর্বের কারণে একাধিক জিনিসে
প্রভাব পড়েছে।”

 

মেদিনীপুর শহরের জেলাশাসকের
দপ্তরে কমিশনের কর্তারা হাজির হয়ে পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুসারে বৈঠক করেছেন
মঙ্গলবার বেলা বারোটা থেকে। মাইনরিটি কমিশনের চেয়ারপার্সন ছাড়াও আরো বিভিন্ন
সদস্যরা ছিলেন কমিশনের পক্ষ থেকে। প্রথম দফায় বৈঠকে কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা
, আইনজীবী, মেদিনীপুর মুসলিম টাউন কমিটির সঙ্গে বৈঠক
করেন। তাদের কাছ থেকে নানান অভাব অভিযোগ ও খুঁটিনাটি তথ্য তুলে নিয়েছেন কমিশনের
আধিকারিকরা। এরপর সেই সমস্ত তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তী বৈঠক হয় এদিন জেলা প্রশাসনের
আধিকারিকদের সঙ্গে বেলা একটার পর।
 

দ্বিতীয় পর্বের বৈঠকে হাজির
ছিলেন
,
জেলাশাসক খুরশেদ আলী কাদরী, পুলিশ সুপার
ধৃতিমান সরকার
, জেলার বিভিন্ন বিধায়ক, বিডিও, মহাকুমা শাসক, পঞ্চায়েত
প্রতিনিধিরাও। প্রত্যেকের কাছে সেই সংলগ্ন এলাকার সংখ্যালঘু সম্পর্কিত উন্নয়নের
রিপোর্ট সংগ্রহ করেন সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারপার্সন । বিকেল চারটে পর্যন্ত এই
বৈঠক চলে। এরপর বৈঠক সেরে সোজা পরিদর্শনে বেরিয়ে যান মেদিনীপুর শহরের পাশে থাকা
সিপাই বাজার এলাকার একটি মুসলিম মহিলা হোস্টেল পরিদর্শনে।

এদিন কমিশনের চেয়ারপার্সন
অধ্যাপিকা ডঃ মমতাজ সংঘমিতা বলেন-” জেলাতে সার্বিক উন্নয়ন সংখ্যালঘুদের
ঠিকঠাক চলছে। অনেক জায়গাতে অবশ্য অভিযোগ রয়েছে সংখ্যালঘুদের উন্নয়নের প্রাপ্ত
টাকা মিলছে না। কোথাও কোথাও পানীয় জল সংকটসহ বিভিন্ন সমস্যা উঠে এসেছে যা
অন্যান্য স্থানে থাকে। সেগুলো কাজ এগোতে বলা হয়েছে। তবে করণা পর্বের কারণে বেশ
কিছুটা তাল কেটেছে। পড়াশোনা ছেড়ে বাড়িতে থাকা অনেক নাবালিকার বিয়ে হয়েছে। কম
বয়সে অনেকের বিয়ে হওয়ার কারণে অসময়ে মাতৃত্ব ও মাতৃমৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।
বিষয়টা নিয়ে তৎপর থাকতে বলেছি আমরা সকলকেই। আমরা কেশপুর সহ বিভিন্ন এলাকায় যে
সমস্ত মুসলিম হোস্টেল গুলি রয়েছে সেগুলি পরিদর্শন করে দেখব। গ্রামাঞ্চলে ঘুরে
দেখার চেষ্টা করব সত্যিই সংখ্যালঘুদের কতটা উন্নয়ন হয়েছে।”
 

তবে এদিন মুসলিম গার্লস হোস্টেল
পরিদর্শনের পর পরিকাঠামো নিয়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন চেয়ারপার্সন । বুধবার
কেশপুর সহ বেশ কয়েকটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকায় পরিদর্শনে যাওয়ার কর্মসূচি
রয়েছে কমিশনের৷




Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page