Panchayet vote:ভোটে জিতে অভিষেক ব্যানার্জীর পছন্দের প্রার্থী গেলেন ঠান্ডা ঘরে, বিরুদ্ধে থাকা কংগ্রেস প্রার্থী গ্রেপ্তার হয়ে গেলেন লকাপে

 

কেশপুর: অবশেষে জয় পেলেন অভিষেক ব্যানার্জীর পছন্দের সৎ মুখ প্রার্থী শেখ হাসিনুদ্দিন। কেশপুরের উচাহার এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হয়েছিলেন তিনি। অরাজনৈতিক ব্যাক্তি হসিনুদ্দিনের বিপরীতে ছিলেন তৃণমূলেরই বিক্ষুব্ধ কর্মী কংগ্রেসের প্রার্থী হয়ে। ভোটের দিনই সংঘর্ষ হয়েছিল ওই বুথে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি রক্তাক্ত হয়ে চিকিৎসাধীন আজও। চিকিৎসার অধীনে কংগ্রেসেরও দুই কর্মী। টানটান কৌতূহল এর অবসান হল মঙ্গলবার। ভোটে জয় পেলেন হসিনুদ্দিন। অন্যদিকে গণনা কেন্দ্রের চত্বর থেকে এদিন সাত সকালেই সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার করে কোর্টে পাঠানো হয় কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল জব্বার মল্লিককে। ভোটে জিতে হাসিনুদ্দিন যখন ভিকট্রী দেখাচ্ছেন, কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল জব্বার মল্লিক তখন মেদিনীপুর আদালতে । তাকে তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।

গত চার ফেব্রুয়ারি পশ্চিম মেদিনীপুরের আনন্দপুর মাঠে একটি জনসমাবেশ করেছিলেন অভিষেক ব্যানার্জি। সেই সমাবেশ থেকে কেশপুরের উচাহার এলাকার বাসিন্দা অরাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব,সৎ চরিত্রের মানুষ হিসেবে শেখ হসিনুদ্দিনকে মঞ্চে তুলেছিলেন তিনি। যিনি পেয়েও আবাস যোজনার বাড়ি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। মঞ্চ থেকেই অভিষেক ব্যানার্জি ঘোষণা করেছিলেন এই ধরনের সৎ মুখই হচ্ছে আগামী দিনে পঞ্চায়েতের প্রার্থী। সেইমতো পঞ্চায়েত নির্বাচনে উচাহার এলাকায় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হিসেবে হসিনুদ্দিনকে দাঁড় করিয়েছিল তৃণমূল। যিনি জীবনের রাজনীতির অ-আ-ক-খ জানতেন না। তাকে প্রার্থী করে দেওয়ায় তৃণমূলেরই একটা অংশ ক্ষুব্ধ হয়ে গিয়েছিল। সেই বিক্ষুব্ধদের মধ্য থেকেই তৃণমূলের কর্মী আব্দুল জব্বার মল্লিক কংগ্রেসের টিকিটে হসেনুদ্দিন এর বিপরীতে প্রার্থী হয়েছিলেন । দলের একাধিক হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও তিনি মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি আব্দুল জব্বার মল্লিক। দল তাকে বহিষ্কার করে ভোট করায়। ভোটের দিন দুই পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি কাজী শাহাদত রক্তাক্ত হয়েছিলেন, উল্টোদিকে কংগ্রেসেরও দুই কর্মী যখম হয়েছিলেন।

ভোট পর্ব শেষ করে ফলাফলের অপেক্ষায় ছিলেন সকলে। মঙ্গলবার গণনা কেন্দ্রে হাজির হয়েছিলেন আব্দুল জব্বার মল্লিক ও হসিনুদ্দিন সকলেই। কিন্তু কেশপুর কলেজের সেই গণনা কেন্দ্র চত্বর থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী আব্দুল জব্বার মল্লিককে তৃণমূল কর্মীকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার করে কেশপুর থানার পুলিশ। এরপর পুলিশ তাকে মেদিনীপুর আদালতে হাজির করে। অন্যদিকে কেশপুর গণনা কেন্দ্রে একদল বিজেপি কর্মী ও প্রার্থী প্রবেশ করতে গিয়ে তৃণমূলের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ করেন। তারা জেলা শাসকের দপ্তরের সামনে গিয়ে ধর্না অবস্থান শুরু করেন। বিজেপির দাবি তৃণমূল ওই গণনা কেন্দ্রে কোন বিরোধী প্রার্থীকে প্রবেশ করতে দিচ্ছে না, সকলকেই মারধর করে তাড়িয়ে দিচ্ছে। তাই অবিলম্বে গণনা বন্ধ রাখতে হবে এবং পুনর্গণনা করতে হবে।

তবে দিনের শেষে দেখা যায় অভিষেক ব্যানার্জীর পছন্দের প্রার্থী জয়ী হয়েছেন উচাহার এলাকার গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে। অন্যদিকে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিকে খুনের চেষ্টার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া আব্দুল জব্বার মল্লিককে আদালত তিন দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page