জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত ৫৮৮, পর্যালোচনা বৈঠকে এফআইআর ১৮ পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে
মেদিনীপুর : পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে ডেঙ্গুর বাড়বাড়ন্ত অব্যহত। নানা ব্যবস্থা নেওয়া সত্বেও পরিস্থিতি যেনো ক্রমেই বাড়ছে। ইতিমধ্যে মেদিনীপুরে মৃত্যু হয়েছে এক মহিলা। পরিস্থিতি নিয়ে শনিবার মেদিনীপুর শহরে বৈঠক বসল সুডা তথা স্টেট আর্বান ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি। খড়্গপুর ও মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকায় ডেঙ্গি নিধনের দায়িত্বে থাকা কর্মীদের নিয়ে এই বৈঠক করেছেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হয় নি সুডার ডেপুটি ডিরেক্টর জলি চৌধুরী। জানতে পারেন, দুই এলাকাতেই অনেক পরিত্যক্ত পুকুর রয়েছে। নির্দেশ সত্বেও পুকুর মালিকেরা পরিচর্যা না করায় সেখান থেকে ডেঙ্গুর উপদ্রব রয়েছে। তাই বৈঠকে বসেই সেখান থেকে মেদিনীপুর পৌরপ্রধানকে ১৮ টি পুকুর মালিকের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
শনিবার দুপুর পর্যন্ত বৈঠক করার পরে মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকার ১৪ নম্বর ওয়ার্ড পরিদর্শনে যান জলি চৌধুরী। সম্প্রতি মারা যাওয়া ওই মহিলার বাড়িতে যান। তবে সেখানে পরিবারের কেউ না থাকায় পাশের বাড়িগুলি পরিদর্শন করেন। নালা-নর্দমা, ছাদে উঠে ফুলের টব পর্যন্ত পরীক্ষা করেন তিনি নিজে। কথা বলেন স্প্রে ওয়ার্কারের সাথে। ডেঙ্গুতে আক্রান্ত এক নাবালিকার পরিবারের সাথে কথা বলে সহায়িকাদের সাথেও কথা বলেন তিনি। কিন্তু সহায়িকারা সঠিক তথ্য দিতে না পারায় খানিকটা অন্তুষ্ট হন জলি চৌধুরী। পরে সেখান থেকে তিনি বেরিয়ে যান খড়্গপুর আইআইটি-র উদ্দেশ্যে। খড়্গপুর আইআইটি-র কর্তাদের সাথে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেন। জলি চৌধুরী বলেন, “দুই পৌরসভাকে নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। কাজ মোটামুটি এগোচ্ছে। সকলকেই আরও ভালো করে কাজ করতে বলেছি। সেই সাথে যে সমস্ত এলাকায় পরিত্যক্ত পুকুর রয়েছে, অথচ বলার পরেও পরিচর্যা করেনি। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এমন ১৮ টি পুকুর মেদিনীপুর পৌরসভা এলাকাতে রয়েছে, যাদের বিরুদ্ধে মহকুমা শাসককে সঙ্গে নিয়ে পুলিশে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। প্রয়োজনে সেই পুকুর পুরসভা নিয়ে পরিচর্যা করবে।” তবে শনিবার পর্যন্ত পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে মোট ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৫৮৮ ৷ তার মধ্যে শনিবারই জেলাতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ২৭ জন।