Medinipurlive: বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ, সোমবার রাতে তোলপাড় কান্ড মেদিনীপুরের উচ্চবিদ্যালয়ে

 

মেদিনীপুর: বন্ধ থাকা একটি উচ্চবিদ্যালয়ের ভেতর থেকে নাকি কান্নার আওয়াজ শুনতে পেয়েছেন স্থানীয়রা ৷ সোমবার বিকেল ৫টা থেকে সেই কথা রটে যায় বিদ্যালয় সংলগ্ন এলাকায় ৷ চাঞ্চল্যকর খবর শুনে অনেকেই ভীড় করতে থাকেন বন্ধ বিদ্যালয়ের বাইরে ৷ খবরযায় স্থানীয় কাউন্সিলার,বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থেকে পুলিশে ৷ সন্ধা থেকে রাত পর্যন্ত এই জল্পনা ও ভীড়ের মাঝে উপস্থিত পুলিশ ও অন্যান্যরা বিদ্যালয়ে খুলে দোতলা বিল্ডিং এর সবটাই দীর্ঘক্ষন খুঁজেও মেলেনি কোনো বাচ্চার হদিশ ৷ সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের মেদিনীপুর শহরের কুইকোটা শঙ্করী বিদ্যানিকেতনে ৷ 

স্থানীয় কাউন্সিলার মিতালী ব্যানার্জী বলেন- “ সোমবার বিকেল থেকে একটা জল্পনা তৈরী হয় যে এই এলাকাতে কেউ বা কারা নাকি বন্ধ থাকা বিদ্যালয়ের ভেতর থেকে বাচ্চার কান্নার আওয়াজ পেয়েছে ৷  তাতে অনেকেই মনে করেন বিদ্যালয় ছুটির পরে হয়তো কোনো ছাত্র বা ছাত্রী ভেতরে আটকা পড়ে রয়েছে ৷ বিকেল থেকে তৈরী হওয়া এই জল্পনা সন্ধার পরে প্রকট হয় ৷ আমরা প্রধান শিক্ষককে ডাকি ৷ তিনি বিদ্যালয় খুলে স্থানীয়রা সহ আমরা ভেতরটি পুরোটা ঘুরে দেখি ৷ সেখানে কোনো বাচ্চাকে পায় নি ৷ পরে খবর দিয়েছি কতোয়ালী থানাকেও ৷ তল্লাশি আরও নিশ্চিত করতে ৷”

অন্যদিকে –এর জেরে ব্যাপক ভীড় তৈরী হয় বিদ্যালয়ের সামনে ৷ কতোয়ালী থানার পুলিশ এলে তাঁরাও স্থানীয়দের সঙ্গে নিয়ে পুরো বিদ্যালয়ে সমস্ত ফ্লোর , সমস্ত রুম, গলি, জলের ট্যাঙ্ক পর্যন্ত খুলে পরীক্ষা করেন ৷ তাতেও মেলেনি কোনো বাচ্চাকে ৷ পুলিস উপস্থিত ভিড়ের উদ্যেশ্যে পুরো বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত করেন ৷ অন্যদিকে বিষয়টি পরিকল্পিত গুজব বলেই দাবি করেন প্রধান শিক্ষক মিহির কুমার বাগ ৷ তিনি বলেন –“ বিষয়টি শুনেই আমি বিদ্যালয় খুলে স্থানীয়দের সঙ্গে তল্লাশি করেছি ৷ পরে পুলিশকে সঙ্গে নিয়েও তল্লাসি করেছি ৷ কিন্তু কোথাও কাউকে পাওয়া যায় নি ৷ বিদ্যালয়ে ২৪ টি সিসি ক্যামেরা রয়েছে ৷ সেগুলিতে তল্লাশি করতে বিশাল সময় লাগবে , যা রাত সম্ভব নয় ৷ আমরা অভিভাবকদের নিশ্চিত করেছি এটা গুজব বলে ৷ পুলিশকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখতে অনুরোধ করেছি এই কথা থেকে ছড়িয়েছে তা দেখতে ৷ ”


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

You cannot copy content of this page